দ্বিতীয় রমজানে প্রার্থনা
প্রকাশিত : ০৮:৪৪, ২৬ এপ্রিল ২০২০
রমজানে জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করা হয় এবং শয়তানকে বন্দি করা হয়। রাসুলে করীম (সা.) বলেন, ‘রমজানের প্রথম অংশ রহমত বা দয়ার, মধ্য অংশ মাগফিরাত বা ক্ষমার এবং শেষাংশ নাজাত বা মুক্তির।’ (রায়হাকি)
আজ রমজানের দ্বিতীয় দিন, রহমত বা দয়ার অংশ। তাই আল্লাহর কাছে দয়া প্রার্থনা করতে হবে। ইফতারের পূর্বের মুহূর্তের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই সময়ের প্রার্থনা আল্লাহর কাছে প্রিয়।
আজ আমরা আল্লাহর কাছে যে প্রার্থনা করতে পারি-
‘হে করুণাময়, তুমি আমাকে মানুষ রূপে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমারই প্রতিনিধি। আমি তোমাতেই সমর্পিত, আমায় ক্ষমা কর, আমায় কবুল কর।’
‘হে সর্বময় ক্ষমতার মালিক, তুমি আমার নেতিবাচক ও ক্ষতিকর দিকগুলো সংশোধন করে দাও, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে বলিয়ান কর। বিশ্বাসে অনঢ়, মেধায় শাণিত, সিদ্ধান্তে বিচক্ষণ ও দক্ষতায় কর অনন্য।’
‘তুমি করুণাময়, ক্ষমাশীল, সব কল্যাণের উৎস, তুমি প্রশান্তি ও কল্যাণে আমাদের জীবন ভরিয়ে দাও এবং শেষ বিচারের দিনে আমাদের জান্নাত দান কর।’
‘হে মহামহিম, আমাদের পানাহ দাও অশান্তির আগুন থেকে, বালা-মুসিবত থেকে, জালেমের জুলুম থেকে। অন্তর প্লাবিত কর প্রশান্ত প্রত্যয়ে।’
‘হে আল্লাহ তুমি তো রিজিকদাতা- আমাদের রিজিকে বরকত দান কর, সব ইবাদত কবুল কর, সুস্থ্যতা দান কর এবং তোমার দেয়া সত্যের পথে থাকার শক্তি দান কর।’
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানে প্রত্যেক আদম সন্তানের নেক কাজের প্রতিদান ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়।’ (মুসলিম ও তিরমিজি শরীফ)
নেক কাজের মধ্যে কোরআন তেলাওয়াত, নামাজ আদায়, সৎ কর্ম, দান, কাউকে সহযোগিতা, ভালো আচরণ ইত্যাদি বোঝায়। এ কাজগুলো আমরা প্রতিসময়, প্রতিদিন করবো।
তথ্যসূত্র : সহিস সিত্তাহ
এসএ/