আল কোরআনে দোয়া
প্রকাশিত : ১৩:০৫, ৫ মে ২০২০
দুনিয়ার বুকে মানুষের উপকার হয় ও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়- এমন অনেক দোয়া পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। দোয়াগুলো খুবই ছোট তাই সহজে মুখস্থ করা যায়। আল কোরআনে দোয়া নিয়ে বেশকিছু আয়াত নাজিল হয়েছে। যেখানে আল্লাহ মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন এবং মুক্তির পথ দেখিয়েছেন।
আজ তেমনই কিছু আয়াত এর বাংলা মর্মবাণী দেওয়া হল-
১০.সূরা ইউনুস, আয়াত ৮৯
৮৯. আল্লাহ বললেন, (হে মুসা!) তোমাদের দুজনের দোয়া কবুল করা হলো। তোমরা (বিশ্বাস ও কর্মে) অটল থাকো। কখনো মূর্খদের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না।
২১.সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৮৯
৮৯. স্মরণ করো জাকারিয়ার কথা! যখন সে প্রার্থনা করেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নিঃসন্তান রেখো না। যদিও আমি জানি (আমাকে বংশীয় উত্তরসূরি না দিলেও) সবার মৃত্যুর পরও তুমি বিরাজমান থাকবে।’ ৯০. আমি তার দোয়া কবুল করলাম। তাকে দান করলাম পুত্র ইয়াহিয়া। তার স্ত্রীকে সন্তান গ্রহণের যোগ্য করলাম। এই রসুলরা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করত। আশা ও শঙ্কা নিয়ে আমার কাছে প্রার্থনা করত। আর তারা ছিল আমার কাছে সবসময় বিনয়াবনত।
৩৩.সূরা আহজাব, আয়াত ৫৬
৫৬. আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি রহমত বর্ষণ করেন। অতএব হে বিশ্বাসীগণ! তোমরাও নবীর ওপর রহমত বর্ষণের জন্যে দোয়া করো এবং তার প্রদর্শিত পথে নিজেকে সমর্পিত করো।
৪০.সূরা মুমিন, আয়াত ৬০
৬০. তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি সাড়া দেবো (দোয়া কবুল করব)। যারা অতি-অহমিকায় আমার ইবাদতে বিমুখ, তারা অবশ্যই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
৯.সূরা তওবা, আয়াত ১০২
১০২. আর কিছু মানুষ নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে। এরা (বিশ্বাস ও সংশয়ের দোলায় পড়ে) ভালো কাজ আর মন্দ কাজকে মিশিয়ে ফেলার পর অনুশোচনা ও তওবা করেছে। আল্লাহ তাদেরও ক্ষমা করতে পারেন। কারণ আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরমদয়ালু। ১০৩. আর (হে নবী!) তুমি তাদের ধনসম্পত্তি থেকে যাকাত গ্রহণ করে তাদেরকে পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধির পথে এগিয়ে দাও। তুমি তাদের জন্যে দোয়া করো এবং তোমার দোয়া তাদের অন্তরকে প্রশান্ত করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব শোনেন, সব জানেন।
১৪.সূরা ইব্রাহিম, আয়াত ৪০
৪০-৪১. ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে নামাজ কায়েমকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করো। প্রভু হে! আমাদের দোয়া কবুল করো। হে আমার প্রতিপালক! কর্মফল দিবসে আমাকে, আমার মা-বাবাকে এবং সকল বিশ্বাসীকে তুমি ক্ষমা করে দিও!’
২৪.সূরা নূর, আয়াত ৬২
৬২. বিশ্বাসী তারাই, যারা আল্লাহ ও রসুলকে অন্তর থেকে বিশ্বাস করে। আর কোনো কাজে রসুলের সাথে একত্র হলে তারা রসুলের অনুমতি ছাড়া স্থান ত্যাগ করে না। হে নবী! যারা তোমার অনুমতি চায়, তারাই আল্লাহ ও তাঁর রসুলে বিশ্বাসী। অতএব তারা তাদের কোনো কাজে বাইরে যেতে চাইলে তুমি যাদেরকে ইচ্ছা অনুমতি দিও এবং তাদের পরিত্রাণের জন্যে আল্লাহর কাছে দোয়া কোরো। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরমদয়ালু।
২৩.সূরা মুমিনুন, আয়াত ৩৯
৩৯. রসুল প্রার্থনা করল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য করো। ওরা আমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করেছে।’ ৪০. আল্লাহ (প্রার্থনা কবুল করে) বললেন, ওদের কৃতকর্মের জন্যে ওরাই অনুশোচনা করবে।
এছাড়া আরও বেশ কিছু আয়াত রয়েছে যা পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
এসএ/