রমজানে তাওবা ইস্তেগফার করতে থাকি
প্রকাশিত : ১৪:৫৬, ১২ মে ২০২০ | আপডেট: ১৪:৫৯, ১২ মে ২০২০
সঠিকভাবে সিয়াম সাধনা বা রোজার কারণে যেমন গোনাহ মাফ হয়, তেমনি আকুতি-মিনতিসহ ইস্তেগফার বা তওবার মাধ্যমেও গোনাহ মাফ হয়। কুরআন-হাদিসে বার বার ইস্তেগফারের কথা এসেছে।
ইস্তেগফার অর্থ হল ‘ক্ষমা প্রার্থনা করা’। কোন ভুল করে ফেললে তার জন্য আমরা মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট ক্ষমা চেয়ে থাকি। ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমরা সবাই বিশেষ করে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ পড়ি। যা সবার নিকট সহজ ও সহজে উচ্চারিত। আরবি ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ কথাটির বাংলা অর্থ, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। প্রতি ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তেন। তিনি বলতেন, তোমরা বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি আমার আল্লাহর কাছে প্রতিদিন ৭০ বার ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকি।
ইস্তেগফার এর মধ্যে উত্তম হচ্ছে, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তার নিকট তাওবা করছি বা তার অবাধ্যতা ছেড়ে আনুগত্যে ফিরে আসছি। আরবীতে বললে, ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি’।
আমরা রমজানের মধ্যভাগসহ পুরো রমজান তাওবা ইস্তেগফার করতে থাকি। আশা করা যায়, আল্লাহ অগণিত মানুষের সাথে আমাদেরকেও মাগফিরাত করে দিবেন।
রমজানসহ সারাবছরে বিশেষ বিশেষ দিন ও রজনী আছে যেখানে ক্ষমার সুসংবাদ দেয়া হয়েছে।
গুণাহ মাফের দশক চলছে। তাকওয়া ও মিষ্টি কথার মাধ্যমে আমাদের আমলগুলো শুদ্ধ করতে পেরেছি কি?
আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আমরা অতীতের কর্মের মধ্যে ঢুকে যাই, দেখি আমরা কি কি অন্যায় কাজ করেছি। এছাড়াও আমাদের অজান্তে অনেক পাপের কাজ হয়ে থাকে। আসুন এগুলোর জন্য ইস্তেগফার করি। বার বার ইস্তেগফার করি। ভালো ভালো আমল করি।
প্রার্থনা করি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন তার প্রিয় বান্দাদের উসিলায় মাগফিরাতের মাধ্যমে আমাদের জীবনকে আলোকিত করে দেন।
বার বার প্রার্থনা করি- হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করতে ভালবাস। আমায় ক্ষমা কর। আমি নিজেই নিজের ওপর জুলুম করেছি, অন্যায় করেছি, পাপ করেছি। তুমি ছাড়া আমায় ক্ষমা করার কেউ নেই। তোমার ক্ষমা ও করুণাই শুধু আমাকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করতে পারে। তুমি আমার সব অপরাধ ক্ষমা কর। আমায় করুণা কর। সৃষ্টির সেবায় আমৃত্যু মেধাকে কাজে লাগানোর তওফিক দাও। প্রশান্তি ও আনন্দে জীবন ভরিয়ে দাও।
এসএ/