মানবমুক্তির পথ বৌদ্ধ দর্শন
প্রকাশিত : ১৭:৫৬, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১১:০২, ৩০ এপ্রিল ২০১৮
বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। এই পবিত্র তিথিতে ভগবান বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন।
গৌতম মানুষের কষ্টে ক্রন্দন করতেন, জাগতিক দুঃখ মুক্তির উপায় খুঁজে চলছিলেন তিনি। জন্ম মৃত্যু জ্বরা-এ তিনটি সত্য তো আছেই এ থেকে মুক্তির উপায় কি-জ্বরা ব্যাধি মৃত্যূ রোধ কি করে হয়? এটারই সাধনা করেছিলেন তিনি, একটা ধরলে একটা আসে। লোভ থেকেই শুরু তারপর হিংসা বিদ্বেষ যা কিনা খুন পর্যন্ত গড়ায়। তিনি ধর্মচক্র প্রবর্তনের ভেতর দিয়ে পরিষ্কার দেখিয়ে দিয়ে গেছেন মানুষকে মুক্তির পথ।
অহিংসা পরম ধর্ম-অতিরিক্ত চাহিদা লোভ দুঃখের একমাত্র কারণ। এ দিনটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। ভক্তগণ প্রতিটি মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশেভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হন।
এছাড়া বুদ্ধগণ এই দিনে বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেদ প্রার্থনা করে থাকেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতি বছরই পালিত হয় গৌতম মানুষের কষ্টে ক্রন্দন করতেন। জন্ম মৃত্যু জ্বরা। এ তিনটি সত্য তো আছেই এ থেকে মুক্তির উপায় কি জ্বরা ব্যাধি মৃত্যু রোধ কি করে হয়-এটারই সাধনা করেছিলেন তিনি। একটা ধরলে একটা আসে লোভ থেকেই শুরু তারপর হিংসা বিদ্বেষ যা কিনা খুন পর্যন্ত গড়ায় তিনি ধর্মচক্র প্রবর্তনের ভেতর দিয়ে পরিস্কার দেখিয়ে দিয়েেছেন মানুষকে মুক্তির পথ অহিংসা পরম ধর্ম। এই বুদ্ধ পূর্ণিমায় গৌতম বুদ্ধের অহিংসা আর সম্প্রীতির বাণীতে শান্তি নেমে আসুক পৃথিবীতে। সবাইকে বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা।
লেখক: কথা সাহিত্যিক