ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র শবেকদর পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৭, ১০ মে ২০২১

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় রোববার রাতে পালিত হয়েছে পবিত্র শবেকদর। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত তথা শবেকদরের রাতটি জিকির-আসকার ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

শবেকদর মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত। এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে রোববার বাদ এশা বিশেষ দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। পরে মুসল্লিরা জিকির-আসকার করেন। তবে করোনা মহামারির কারণে এবারও বাড়তি কোনো আয়োজন ছিল না শবেকদরে।

বায়তুল মোকাররম মসজিদ ছাড়াও রোববার তারাবির নামাজের পর সারাদেশে মসজিদে মসজিদে বয়ান ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মুসল্লিরা অংশ নেন।

মাহে রমজানের এ রাতেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। তাই এ রাত সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কাছে এক পুণ্যময় ও মহিমান্বিত রাত হিসেবে বিবেচিত। ইসলাম ধর্মে এ রাতের ইবাদতকে বিশেষ তাৎপর্যময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।  

‘শবে কদর’ হলো একটি ফারসি শব্দ। যার অর্থ মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের যে কোনও বেজোড় রাতে হতে পারে শবে কদর। এ রাতকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর সন্ধান করো।’ (মুসলিম)।

কদরের রাতে মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই লাইলাতুল কদরের রাতটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে অনেক ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি