বুদ্ধ পূর্ণিমা, প্রার্থনায় দেশের সমৃদ্ধি কামনা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৫৯, ২৬ মে ২০২১
করোনা মহামারির কারণে এবার স্থাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন। এবারের প্রার্থনায় থাকবে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা। করোনা থেকে যেন বিশ্ববাসী নিষ্কৃতি পায়, তাই-ই হবে ভক্তকূলের প্রাণের আকুতি। জীবন আগে; বেঁচে থাকলে আগামীতে সব আয়োজন-নিবেদন নিয়ে মহান বুদ্ধকে স্মরণ করার প্রত্যাশা ভক্তদের।
বুদ্ধপূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও পবিত্রতম উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। বৈশাখী পূর্ণিমা তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই পবিত্র তিথিতে মহান গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বোধি বা সিদ্ধিলাভের পাশাপাশি করেছিলেন মহাপরিনির্বাণ লাভ।
এই দিনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা স্নান করেন; শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় সমর্পণ করেন নিজেকে। ভক্তগণ মন্দিরগুলোতে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হন।
বুদ্ধগণ বুদ্ধপূজার পাশাপাশি এদিন পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করে থাকেন। কিন্তু এবার দেখা যাবে না এমন চিরচেনা চিত্র। করোনার কারণে আয়োজন হবে সীমিত। থাকবে না জৌলুস।
বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়া বলেন, আমরা যদি বেঁচে থাকি তাহলে ধর্ম করতে পারবো, বুদ্ধ জয়ন্তি করতে পারবো। আগে হচ্ছে মানুষ বেঁচে থাকা। সরকারের যে নির্দেশনা আছে সে নির্দেশনা মেনে এবার আমরা শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা পালন করবো। এটা অনেকটা বলা যায় প্রতীকী, যেটা না করলে একেবারে হয় না।
সর্বদা সকল প্রাণের মঙ্গল কামনারত বুদ্ধরা এবার করোনাতেও সকল মানুষের জীবন, করোনা থেকে নিষ্কৃতির প্রার্থনা করবেন। মহান বুদ্ধের জন্মতিথিতে প্রার্থনায় মানুষের মঙ্গল কামনাই করবেন তারা।
ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়া আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য আমরা প্রার্থনা করবো যাতে আমাদের সকল জনগণ করোনামুক্ত থাকতে পারেন। জগতের সকল প্রাণী যাতে সুখে থাকে এটাই আমাদের মূল প্রার্থনা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার সবুজে-সানন্দে-উৎসব হবে। মহান বুদ্ধের কৃপা লাভে জমকালো আয়োজনে মিলিত হবেন সবাই, এমন প্রত্যাশাই ভুক্তকূলের।
ভিডিও-
এএইচ/