দেবীর আরাধনায় দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা
প্রকাশিত : ১১:৩৯, ৬ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১১:৪০, ৬ অক্টোবর ২০২১
শুভ মহালয়া। বুধবার ভোরে দেবীর আবাহনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো দূর্গাপূজার ক্ষণ গণনা। চণ্ডীপাঠ, ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। দেবীর আরাধনায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মহালয়ায় যোগ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, দূর্গোৎসবের আনন্দ সঞ্চারিত হবে সবার মাঝে, হবে সকল ধর্মের বন্ধন সুদৃঢ়। শেষ হবে মহামারি, মানুষ খুঁজে পাবে তার আগের সময়।
মা দূর্গা যখন পৃথিবীতে আসেন, প্রকৃতিই সবার আগে স্বাগত জানায় তাকে। আকাশে সাদা মেঘের রাশি, কাশফুল আর শিউলি ফুলের সমাহারে মা আসেন আমাদের কাছে শরতের আশ্বিন মাসে।
কৈলাস থেকে মর্তে পা রাখবেন দেবী। তারই আগমনী সুর মহালয়া। চণ্ডীপাঠ, মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজার মধ্য দিয়ে দেবী দূর্গাকে করা হয় আবাহন। চণ্ডীতেই আছে দেবী দূর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও দেবীর স্তুতি।
মহা শব্দটির অর্থ পূজা, আবার মহা বলতে উৎসবও বোঝায়। মহালয়া মানে পিতৃপক্ষের শেষ আর দেবীপক্ষের শুরু। পিতৃপক্ষ হল পূর্বপুরুষদের তর্পাদির জন্য প্রশস্ত এক বিশেষ পক্ষ।
সাধারণভাবে মহালয়া মানে দূর্গাপূজার দিন গোনা, মহালয়ার ৬ দিন পর মহাসপ্তমী, দেবীকে আমন্ত্রণ জানানো। পুরান মতে, মহালয়ার দিন মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান দেবী দূর্গা।
ভোরে গুলশান-বনানী পূজা মণ্ডপে মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ধর্মীয় উৎসবগুলো বাঙালির উৎসব। এখানে সাম্প্রদায়িকতা বাসা বাঁধলে দেশের উন্নয়নে তা হবে প্রধান অন্তরায়।
অকাল বোধনী দেবী দূর্গা এবার আসছেন ঘোড়ায় চড়ে আর যাবেন দোলায় চেপে।
ভিডিও-
এএইচ/