কেন করা হয় কুমারী পূজা?
প্রকাশিত : ১৯:০৪, ১৩ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ২১:৫৪, ১৩ অক্টোবর ২০২১
দুর্গা পূজার অন্যতম অঙ্গ কুমারী পূজা। সাধারণত অষ্টমী বা নবমী তিথিতে বহু সাড়ম্বরে কুমারী পূজা হয়ে থাকে। এই পূজা নিয়ে আজও কৌতূহলের শেষ নেই। সবার মনেই ঘুরপাক খায়, কেন করা হয় কুমারী পূজা?
পুরাণ মতে মুনি ঋষিরা প্রকৃতিকে নারীর সমান মনে করতেন। তাই কুমারী পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পূজা করতেন তারা। কারণ, তারা মনে করতেন মানুষের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বর।
বিশেষ করে যাদের মন সৎ, যারা নিষ্পাপ তাদের মধ্যেই ভগবানের প্রকট সবথেকে বেশি। এই গুণ কেবলমাত্র কুমারীদের মধ্যে থাকতে পারে, এই ভেবে তাদের দেবীরূপে পূজা করা হয়।
দেবী পুরাণেও কুমারী পূজার উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্রমতে, এক থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত বালিকাদের কুমারী রূপে পূজা করা হয়।
নতুন বস্ত্র, ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, কপালে সিঁদুরের টিপ ও তিলক পরিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় কুমারীদের। বয়সভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন। তবে কুমারী পূজার জন্য সাধারণত পাঁচ থেকে সাত বছরের কন্যাকে মনোনীত করা হয়।
সনাতন শাস্ত্র অনুযায়ী, কোলাসুর কে বধ করার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় কুমারী পূজার। গল্পে বর্ণিত রয়েছে যে, কোলাসুর যখন স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করেন, তখন কোলাসুর এর থেকে মুক্তি পেতে দেবতাগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন।
দেবতাগণের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবী কুমারীরূপে কোলাসুর কে বধ করেন। এর থেকে মর্ত্যে কুমারীপূজার প্রচলন শুরু হয়।
সনাতন ধর্মে, সম্মানের দিক থেকে নারীকে শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো হয়েছে। তাই শাস্ত্রকাররা নারীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে এই পূজা করার কথা বলেছেন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এসবি/