ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যেভাবে শুরু রঙ দিয়ে দোল খেলার প্রথা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪০, ১৮ মার্চ ২০২২

Ekushey Television Ltd.

পৌরাণিক কাহিনীতে, রঙের হোলির সম্পর্ক শ্রী কৃষ্ণ এবং রাধারানীর সঙ্গে সম্পর্কিত বলা হয়েছে। কথিত আছে যে, শ্রী কৃষ্ণ এই প্রথা শুরু করেছিলেন তার গোপীদের সঙ্গে। এই কারণেই হোলি উৎসব এখনও ব্রজে অন্যভাবে পালিত হয়। 

ন্যাড়া পোড়া বা হোলিকা দহন প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয়। হোলিকা দহনকে মন্দের ওপর ভালোর জয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরের দিন প্রতিপদ তিথিতে রং ও আবির দিয়ে রঙের হোলি খেলা হয়। 

কিন্তু জানেন কি হোলি খেলার এই প্রথা শুরু হয়েছিল কীভাবে? 

এবার হোলি উৎসব পালিত হচ্ছে ১৮ মার্চ। এই উৎসব ঘিরে বিভিন্ন ধরনের হোলি খেলা হয়। যেমন- লাড্ডু হোলি, ফুলের হোলি, লাঠমার হোলি, রঙের হোলি ইত্যাদি। এই অনুষ্ঠান শুরু হয় হোলির কয়েকদিন আগে।

রঙের হোলির পেছনে রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের লীলা গল্প। শ্রী কৃষ্ণের গায়ের রং কালো এবং রাধারানী ছিল খুবই ফর্সা। তিনি প্রায়ই তার মা যশোদা এই বিষয়ে অভিযোগ করতেন এবং তার মা এই বিষয়ে উচ্চস্বরে হাসতেন। 

একবার তিনি শ্রীকৃষ্ণকে রাধার মুখের উপর সেই রঙ লাগাতে বললেন যে রঙেই তিনি রাধাকে দেখতে চান। দুষ্টু কৃষ্ণ মায়ের দেওয়া এই পরামর্শ খুব পছন্দ করলেন এবং গোপীদের সাহায্যে বিভিন্ন রং তৈরি করে রাধা ও তার বন্ধুদের রঙ দিলেন। 

দুষ্টু কৃষ্ণর এই দুষ্টুমি সকলকে আনন্দ দিচ্ছিল এবং সমস্ত ব্রজবাসীরা খুব হাসছিল। মনে করা হয়, হোলিকা দহনের পর এই দিন থেকেই শুরু হয় রঙের হোলি খেলার প্রথা। মানুষ রঙিন আবির দিয়ে হোলি খেলে এই উৎসব পালন করে।

আসলে এই রঙগুলো একঘেয়ে জীবনে উত্সাহ পূর্ণ করতে এবং মানুষের মধ্যে ইতিবাচকতার অনুভূতি আনতে কাজ করে। লাল রঙকে ভালোবাসার প্রতীক এবং সবুজ রঙকে সমৃদ্ধির সূচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

হলুদ রংকে শুভ এবং নীল রংকে শ্রীকৃষ্ণের রঙ হিসেবে ধরা হয়। এভাবে রং দিয়ে হোলি খেলে মন আনন্দিত হয়। এই উৎসব মানুষের মন থেকে তিক্ততা দূর করে ভালোবাসায় পূর্ণ করে। 

যদিও হোলির এই উৎসবটি ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলে পালিত হয়, ব্রজের হোলি এখন সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এটি রাধাকৃষ্ণের প্রকৃত প্রেমের প্রতীক হিসাবে পালিত হয়।

এক কথায় মনের সব গ্লানি কাটিয়ে তুলতে এই উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব জুড়ে।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি