মহাঅষ্টমীতে নারী জাগরণের প্রার্থনায় কুমারী পূজার আয়োজন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৬:৪০, ৩ অক্টোবর ২০২২
দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী আজ। সারম্বরে ধর্মীয় বিধি মেনে করা হয় দেবী দুর্গার অষ্টমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা। দুই বছর বন্ধ থাকার পর রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠে ছিলো কুমারী পূজার আয়োজন। জগতের কল্যান আর নারী জাগরণের প্রার্থনা উচ্চারিত হয় ভক্ত কণ্ঠে।
মহাঅষ্টমীর পূণ্যলগ্ন, মন্দির-মণ্ডপে ঢাকের বাদ্য, কাসর ঘণ্টা আর শঙ্খ ধ্বণিতে শান্তির বার্তা।
সকালে শাস্ত্রীয় আচার ও বিধি মেনে দুর্গতিনাশিনী দেবীর দুর্গার অষ্টম্যাদি কল্পারম্ভ ও অষ্টমী বিহিত পুজা করা হয়। ফুল,জল,বিল্বপত্রসহ নানা উপাচারে মায়ের পূজায় মনের সবটুকু ভক্তি উজার করে প্রার্থনা জানান ভক্তরা।
একজন ভক্ত বলেন, "মা যেনো সকলকে নিয়ে এইভাবেই সবসময় আনন্দে মেতে থাকতে পারি, সকলের যেনো মঙ্গল হয়।"
মন্দিরে আসা আরেক ভক্ত বলেন, "সাবৃজনিন দুর্গা পূজা আসলে সারা বাংলাদেশের সবার জন্যই, আমি মনে করি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে, এটা সবার জন্যই উৎসব মুখোর আয়োজন।"
রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠে করোনার কারণে দুই বছর হয়নি কুমারী পূজার আয়োজন। এবার ছয় বছরের দেবদুতা চক্রবর্তী শ্রেষ্ঠাকে কুমারীরুপে পূজা করা হয়, কুমারীর শাস্ত্রীয় নাম উমা।
কুমারী পূজা মাতৃভাবে ঈশ্বরেরই বন্দনার অংশ। কুমারীতে দেবীভাব আরোপ করে ঈশ্বরের আরাধনা। প্রদীপ, বস্ত্র, ফুল, জলসহ নানা উপাচারে ভক্তি নিবেদন করা হয়। এর মাধ্যমে সমগ্র নারী জাতির প্রতি সম্মান জানানো হয়।
একজন ভক্ত বলেন, " মা যেনো সকল নারীকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করে, মা যেনো সকল নারীকে ভালো রাখেন।"
কুমারী পূজার মাধ্যমে মহামায়াকে তার মধ্যে দর্শন করি এবং আমরা তার কাছে প্রার্থনা করি যেনো বিশ্বে যেভাবে নারী নির্যাতিত হচ্ছে তা থেকে যেনো উনি নারী জাতিকে মুক্তি দেন।"
পরে সকলের মঙ্গল কামনায় আর্শীবাদ দেন কুমারীরুপী উমা।
অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট থেকে নবমী তিথীর প্রথম ২৪মিনিট পর্যন্ত সময়ের সংযোগস্থলে হয় সন্ধি পূজা। দেবী দুর্গা পূজিত হন চামুন্ডা রুপে। সন্ধিপূজার সন্ধিক্ষণেই মহিষাসুর বধ হয়েছিলো অসুরবিনাশিনী দুর্গার হাতে।
এসবি/