ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

সে-ই সফল, যে নিজেকে পবিত্র করেছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১৪:২২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ভালো মানুষের ভূষণ শুদ্ধাচার। শুদ্ধাচারী মানুষই ভালো মানুষ। আসলে যা-কিছু ভালো, যা-কিছু কল্যাণকর তা-ই শুদ্ধ। যা-কিছু মন্দ, যা-কিছু অকল্যাণকর তা-ই অশুদ্ধ। যা-কিছু সত্য, সুন্দর ও শুভ তা-ই শুদ্ধ। যা-কিছু অসত্য, পঙ্কিল ও অশুভ তা-ই অশুদ্ধ। যা-কিছু ন্যায় ও মানবিক তা-ই শুদ্ধ। যা-কিছু অন্যায়, জুলুম ও অমানবিক তা-ই অশুদ্ধ। যা শুদ্ধ ও কল্যাণকর তা-ই ধর্ম আর যা অশুদ্ধ ও অকল্যাণকর তা-ই অধর্ম। ধর্মের ফলিত রূপ হচ্ছে শুদ্ধাচার আর অধর্মের ফলিত রূপ হচ্ছে দুরাচার। আপনার আচারই বলে দেবে আপনি ধার্মিক, না অধার্মিক। আসলে ধার্মিক যেমন দুরাচারী হতে পারে না, তেমনি দুরাচারীও কখনো ধার্মিক বলে গণ্য হতে পারে না।

দুনিয়ার জীবনে কে সফল, কে ব্যর্থ? সফলতা ও ব্যর্থতার মানদণ্ড কী? মহান আল্লাহই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর হুকুমেই সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে গোটা সৃষ্টিজগৎ। সুতরাং তিনি যাদের সফল বলবেন, বাস্তবে তারা সফলই। আর তিনি যাদের ব্যর্থ বলবেন, তারা মূলত ব্যর্থই।

আল্লাহ তাআলাই আমাদের জীবন দিয়েছেন। সঙ্গে দিয়েছেন জীবন বিধানও। তাই তাঁর দৃষ্টিতে কে সফল, কে ব্যর্থ তা আমাদের জানতে হবে। পবিত্র কোরআনে তিনি এরশাদ করেন, ‘সে-ই সফলকাম হবে, যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে; এবং সে-ই ব্যর্থ হবে, যে নিজেকে কলুষিত করবে।’ (সুরা শামস: ৯-১০)

অর্থাৎ, যে নিজের কুপ্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারবে, সে-ই সফল হবে। পক্ষান্তরে যে নিজের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করবে, আল্লাহর বিধি-বিধানের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবে না, ইচ্ছেমতো জীবন পরিচালনা করবে, সে ব্যর্থ ও বিফল হবে। প্রথম ব্যক্তির ঠিকানা হবে জান্নাত। আর দ্বিতীয় ব্যক্তির স্থান হবে জাহান্নামে।

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে সীমা লঙ্ঘন করে এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দেয়, জাহান্নামই হবে তার আবাস। পক্ষান্তরে যে স্বীয় প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, জান্নাতই হবে তার ঠিকানা।’ (সুরা নাযিয়াত ৩৭-৪১)

এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজ থেকে বিরত থাকে, সে তার ইজ্জত ও দ্বীন রক্ষা করে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হয়, সে পরিশেষে হারাম কাজে লিপ্ত হয়।’ যে কাজে জায়েজ ও নাজায়েজ উভয় দিকের সম্ভাবনা থাকে, সেটিকেই সন্দেহজনক কাজ বলা হয়।

এমএম//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি