ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হজ ফরজ হলে আদায় না করলে যে শাস্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৯, ১৫ মে ২০২৪ | আপডেট: ১০:৪৭, ১৫ মে ২০২৪

সামর্থ্য থাকার পরও হজ না করার পরিণাম ভয়াবহ। ফরজ হজ ত্যাগ করলে ইহুদি-নাসারার মতো মৃত্যু হবে বলে হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "হজ ফরজ হওয়ার পর তা আদায় না করে মৃত্যুবরণ করা ইহুদি বা খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করার নামান্তর।" (তিরমিজি ১/১৬৭)

হযরত ওমর (রা.) বলেন, "যে ব্যক্তি হজ করার সামর্থ্য রাখে, তবুও হজ করে না, সে ইহুদি হয়ে মৃত্যুবরণ করল কি খ্রিস্টান হয়ে, তার কোনো পরোয়া আল্লাহর নেই।" (ইবনে কাসির ১/৫৭৮)

হযরত আবু হুরায়রাহ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দানকালে বললেন, "হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন, সুতরাং তোমরা হজ্জ/হজ পালন করবে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! এটা (হজ্জ পালন) কি প্রত্যেক বছরই? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) চুপ থাকলেন। লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করলো। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তবে তা (হজ্জ প্রতি বছর) ফরয হয়ে যেতো, যা তোমরা (প্রতি বছর হজ্জ পালন করতে) পারতে না। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যে ব্যাপারে আমি তোমাদেরকে কিছু বলিনি সে ব্যাপারটি সেভাবে থাকতে দাও। কেননা তোমাদের পূর্বের লোকেরা বেশি বেশি প্রশ্ন করে ও তাদের নবীদের সাথে মতবিরোধ করার কারণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাই আমি যখন তোমাদেরকে কোন বিষয়ে নির্দেশ করবো তা যথাসাধ্য পালন করবে এবং যে বিষয়ে নিষেধ করবো তা পরিত্যাগ করবে।" (মুসলিম ১৩৩৭, নাসায়ি ২৬১৯, আহমাদ ১০৬০৭)

আর কেউ যদি হজ অস্বীকার করে বা কোনো ধরনের অবহেলা প্রদর্শন করে তবে সে আল্লাহর জিম্মার বাইরে বলে বিবেচিত হবে।

আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের ওপর আল্লাহর উদ্দেশে এ গৃহের হজ করা ফরজ। আর কেউ যদি অস্বীকার করে, তাহলে জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহতায়ালা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ৯৭)

তাই যাদের ওপর হজ ফরজ হয়েছে তাদের উচিত হলো বিলম্বজ আদায় ক না করে দ্রুত ফরজ হরে ফেলা। অনেকেই মনে করেন, বৃদ্ধাবস্থায় হজ আদায় করবেন। পরে দেখা যায়, তিনি আর শারীরিকভাবে সক্ষম থাকেন না কিংবা হজ পালন করার আগেই মৃত্যুবরণ করেন। তাই শেষ জীবনের ভরসায় না থেকে হজ ফরজ হলে দ্রুত আদায় করা ফেলা আবশ্যকীয়।

হযরত আবু হুরায়রাহ (রা.) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, "একবার রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন আমল সর্বোত্তম? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ ও তার রসুলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, তারপরে কোন আমল? "

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। আবারও জিজ্ঞেস করা হলো, এরপর কোনটি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, "হজ্জে মাবরুর অর্থাৎ- কবুলযোগ্য হজ্জ।" (বুখারি ২৬, মুসলিম ৮৩, তিরমিজি ১৬৫৮)

এমএম//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি