শুভ বড়দিন আজ
প্রকাশিত : ১০:১২, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭
আজ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বিদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’। এদিন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেন। পবিত্র নগরী বেথেলহেমে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ঈশ্বরের বাণী মানুষদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এবং মানব সমাজকে ঈশ্বরের কৃপায় নিয়ে আসতে জন্ম হয় যীশু খ্রিস্টের। মানব জাতিকে পাপ মুক্ত করা এবং সঠিক পথে পরিচালনা করাই ছিল খ্রিস্টের মূল উদ্দেশ্য।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতই বাংলাদেশেও যথাযথ ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় বড়দিন। সকালে গির্জায় প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের দিনের আয়োজন। বাসা বাড়িতে তৈরি হবে কেক এবং বিশেষ খাবার।
বড়দিনকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত রাজধানী। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই গীর্জা, হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়। গীর্জার পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় প্রজ্জলিত হবে মোমবাতি। লাগানো হয়েছে বড়দিনের অন্যতম আকর্ষন ‘ক্রিস্টমাস ট্রি’। অনেক হোটেল-রেস্টূরেন্টে আগত অতিথিদের স্বাগত জানাতে রাখা হয় সান্তা ক্লস। এ সময় শিশুদের চকলেট এবং উপহার দিয়ে স্বাগত জানাতে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে।
বড়দিন উপলক্ষ্যে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বিঘ্নে বড়দিন উদযাপনের জন্য দেশজুড়ে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজধানীতে নিয়মিত সদস্যদের পাশাপাশি থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ।
এসএইচএস/এমআর