বিশ্ব ইজতেমায় স্মরণকালের জুমার নামাজ, ৩ মুসল্লির মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৬:৩৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২০
টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বাদ ফজর থেকে শুরু হয় মাওলানা সাদ আনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা। মাওলানা ওসমানের আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। আর বয়ান বাংলায় তরজমা করেছেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর।
দ্বিতীয় পর্ব শুরুর দিন শুক্রবার ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্মরণকালের বৃহত্তম জুমা। এতে লাখ লাখ মুসুল্লি অংশগ্রহণ করেন। ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা মোশাররফ।
ইজতেমায় যোগ দেয়া মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নেন ঢাকা-গাজীপুরসহ আশে-পাশের এলাকার জেলার ধর্মপ্রাণ মানুষ। জুমার নামাজে শরিক হতে সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ আশে-পাশের জেলার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকেন।
দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে এসেছেন অনেকেই। তিলধারণের ঠাঁই ছিল না প্রায় ১৬০ একর জমিতে তৈরি করা বিশাল ছাউনির নিচে। বহু মুসল্লিকে স্থানাভাবে পাকা রাস্তায়, খবরের কাগজ, হুগলা ও পলিথিন বিছিয়ে নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।
আগামি রোববার (১৯ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা তথা এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা। মোনাজাতের আগ পর্যন্ত তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীরা পর্যায়ক্রমে ঈমান ও আমলের উপর বয়ান পেশ করবেন।
এদিকে, প্রথম পর্বের ন্যায় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও বার্ধক্যজনিত কারণে তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কাজী আলাউদ্দিন (৬৬) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়। তিনি সুনামগঞ্জের লক্ষ্মীপুর চাঁনপুর এলাকার হযরত আলীর ছেলে। এ নিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দফায় যোগ দিতে গিয়ে মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. মনজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে আলাউদ্দিন নিজ খিত্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এআই/এসি