‘আদর্শ গ্রামে’ রোহিঙ্গারা নিরাপদ থাকবে: মিয়ানমারের সেনাপ্রধান
প্রকাশিত : ১৮:১৬, ৫ মে ২০১৮
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যত দিন তাদের জন্য তৈরি ‘আদর্শ গ্রামে’ থাকবে তত দিন তারা নিরাপদ থাকবে।’
শনিবার এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৩০ এপ্রিল মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দেশটিতে সফররত জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সেদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হলাইং এ সব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু অনেক দিন ধরেই মিয়ানমারের অন্যতম আলোচিত সংকট হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘রোহিঙ্গা’ বলতে নারাজ সেদেশের সেনাবাহিনী।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলা এই সংকটকে নতুন করে উসকে দেয়। এর জের ধরে, সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান অব্যাহত থাকে। একই সাথে চলে দমন-পীড়ন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালায়।
এএফপি জানায়, এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ একে জাতিগত নিধন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার গত বছরেই রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে সম্মত হয়। তবে নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার মতো মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা না পেলে মিয়ানমারে ফিরতে রাজি হচ্ছে না রোহিঙ্গারা।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক হত্যা, ধর্ষণ, আগুনে পোড়ানোর যে মর্মস্পর্শী বর্ণনা দিয়েছেন, এসব অভিযোগে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। তিনি এসব বর্ণনাকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে দাবি করেছেন।
মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনো অনুকূলে রোহিঙ্গাদের বসবাসের উপযোগী হয়নি দাবি করে জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমার যতই কম করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুতির কথা বলুক না কেন, এখনো তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
গত কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু হিসেবে বাস করছে রোহিঙ্গারা। তাদের সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি খুব নাজুক বলেই বর্ণনা করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
কেআই/টিকে
আরও পড়ুন