ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারে ফেরা রোহিঙ্গারাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে : এইচআরডব্লিউ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৭, ২১ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১০:৩১, ২৩ আগস্ট ২০১৮

নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের খারাইন নিয়ে আসলেও সেখানে অবস্থারত রোহিঙ্গারা আবারও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এইআরডব্লিউ। সংগঠনের পক্ষে থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে ফেরা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন চালাচ্ছে।


এতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে দেওয়া মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতির সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করছে ওই সংস্থা। নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ বলছে, নির্যাতনের এই আলামত প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্তি ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানের অপরিহার্যতাকে সামনে এনেছে।


গত বছরের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলাকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বলা হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সমস্ত পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল।

চলমান জাতিগত নিধনে হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিপুল পরিমাণ শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি করতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সেই প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।

অবশ্য এইচআরডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে ৬ রোহিঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে এনেছে যারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর আবারও মিয়ানমারে ঢুকেছিল। রাখাইনে থেকে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাদের। টাকা উপার্জন করে আবার বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা চিন্তা করেছিল তারা।

ওই ৬ রোহিঙ্গা এইচআরডব্লিউ-এর কাছে অভিযোগ করেছে, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়। অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার অভিযোগে ৪ বছর করে কারাদণ্ডও দেওয়া হয় তাদের।

টিআর/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি