‘রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণে বাধা যুদ্ধাপরাধের সামিল’
প্রকাশিত : ০৯:৫৫, ৩১ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১০:০০, ৩১ আগস্ট ২০১৮

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাত্বে ত্রাণ বিতরণে সরকারের বাধা ‘যুদ্ধাপরাধের সামিল’ বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংগঠন ফর্টিফাই রাইটস। গত বৃহস্পতিবার ইয়াংগুনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এমন মন্তব্য করে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়,মিয়ানমারে মানবাধিকারের অপব্যবহারের জন্য দায়ীদের বিচারের মুখে দাঁড় করাতে আন্তর্জাতিক চাপ জরুরি।
ফর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডেভিড বাউলক বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত বিষয়টি তদন্তের জন্য মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো। এছাড়া, মিয়ানমার সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে কাচিন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষদেরকে মানবিক ত্রাণ থেকে বঞ্চিত করে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। আর এই কার্যকলাপও যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হতে পারে।
রাখাইনে বর্মি সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে গত ২৭ অগাস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘নির্বিচার হত্যা, গণধর্ষণ, শিশু নির্যাতন ও গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া—এসব ঘটনাকে সামরিক অভিযান পরিচালনার কথা বলে কোনোভাবেই ন্যায্যতা দেওয়া যাবে না।’ এতে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর সুপারিশ করা হয়। এর পর, ফর্টিফাই রাইটস সেখানকার ত্রাণ তৎপরতায় বাধা দেওয়া নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করল।
টিআর/
আরও পড়ুন