ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

হাইড্রোজেনচালিত এয়ারবাসের নতুন ডিজাইন: আধুনিক প্রযুক্তির নতুন দি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১১, ৩০ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ইউরোপীয় বিমান নির্মাতা জায়ান্ট এয়ারবাস তাদের আসন্ন সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক, হাইড্রোজেনচালিত ZEROe বিমানের নতুন নকশা উন্মোচন করেছে, যা হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল দ্বারা চালিত হবে।

একক আইলের এই বিমানটিতে ছয়ের পরিবর্তে চারটি ইঞ্জিন থাকছে, যেখানে প্রতিটি ইঞ্জিন নিজস্ব ফুয়েল সেল স্ট্যাক দ্বারা পরিচালিত হবে।

তবে এয়ারবাস তাদের নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কিছুটা দেরিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চলেছে। পূর্বে ২০৩৫ সালের মধ্যে শূন্য-নিঃসরণ বিমান (zero-emission aircraft) উড্ডয়নের পরিকল্পনা থাকলেও, এখন নতুন প্রজন্মের এই বিমানটি ২০৩০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর  আগে ২০২১ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দু’টি সংস্থা দিয়েছিল তারা যৌথ উদ্যোগে বিশ্বে প্রথম হাইড্রোজেন-চালিত এয়ারক্রাফট চালু করতে যাচ্ছে।  একইসঙ্গে সেই বছরই ওই বিমানে চালু হবে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন। 

সংবাদমাধ্যম নিউ আটলাস এবং রব রিপোর্ট তাদের প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান সংস্থা আলাস্কা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যৌথভাবে পুরোপুরি হাইড্রোজেন-চালিত বিমান আনার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ-আমেরিকান অ্যাভিয়েশন কোম্পানি জিরোঅ্যাভিয়া। সংস্থাটির দাবি, এই এয়ারক্রাফটটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাইড্রোজেন-চালিত যাত্রীবাহী বিমান। একইসঙ্গে জিরো-এমিশন বা শূন্য কার্বন নিঃসরণকারী সবচেয়ে বড় এয়ারক্রাফটও হবে এটি।

এছাড়া ৭৬ আসনে যাত্রী বহনে সক্ষম এই বিমানটি ২০২৪ সালের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে আকাশে উড়বে। তাদের দাবি, হাইড্রোজেন-চালিত বিমান এখন আর সুদূরপ্রসারী কল্পনা বা ধারণা নয়। ২০২৪ সালের মধ্যেই বিমানটি বাণিজ্যিকভাবে আকাশে উড়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের ফলে সৃষ্ট নিঃসরণের মতো গতানুগতিক বিমানের ইঞ্জিনও গ্যাস ও অতিক্ষুদ্র দূষক কণা নিঃসরণ করে এবং শব্দদূষণ সৃষ্টি করে। ফলে এগুলোর বৈশ্বিক প্রভাব ও স্থানীয় বায়ুর গুণমানে সৃষ্ট প্রভাব পরিবেশগত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া জেট বিমানগুলো কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পাশাপাশি নাইট্রোজেন অক্সাইড, অতিক্ষুদ্র দূষণকারী কণা নিঃসরণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।

২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ফলে ওই বছর মোট নিঃসৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মোট ২ দশমিক ৪ শতাংশ উৎপাদন করেছিল। আর তাই হাইড্রোজেন-চালিত বিমানের ব্যবহার বেশ পরিবেশবান্ধব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি