দিনে ৭টি সেলফি তুললেই আপনি ‘সেলফাইটিস’ রোগী
প্রকাশিত : ০৮:৫৩, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১০:০৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
মোবাইল ফোনে সেলফি তোলা অনেকের কাছে প্রিয় হলেও গবেষকরা বলছেন, সেলফি তোলার আসক্তি সত্যি সত্যিই একটা `সমস্যা`- এবং আপনি যদি দিনে ৬টির বেশি সেলফি তোলা এবং তা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করার তাড়না বোধ করেন- তাহলে বলতে হবে আপনার `ক্রনিক সেলফাইটিস` হয়েছে।
এ নিয়ে সম্প্রতি দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- ইংল্যান্ডের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের থিয়াগারাজার স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট মিলে একটি জরিপ করেছেন
এখন কথা হলো ৬টির বেশি সেলফি তুললে যদি `সেলফাইটিস` হয়েছে বলা হয়- তাহলে জুনায়েদ আহমেদকে কি বলা যাবে? বাইশ বছর বয়স্ক জুনায়েদ আহমেদ থাকেন ইংল্যান্ডের এসেক্স কাউন্টিতে। প্রতিদিন প্রায় ২০০টি সেরফি তোলেন তিনি। তিনি নিজেই স্বীকার করেন যে তিনি সেলফিতে আসক্ত। তিনি এ-ও স্বীকার করেন যে এই সেলফির তাড়নার কারণে তা প্রিয়জনদের সাথে সমস্যা হয়। এখন সেলফির জন্য তিনি তার নিজের চেহারাও `আপগ্রেড` করেছেন বা উন্নতি ঘটিয়েছেন। জুনায়েদ বলেন, ‘আমি আমার দাঁত সাদা করিয়েছি, চিবুক, চোয়াল, ঠোঁট ও গাল ভরাট করিয়েছি, চোখ এবং চুলে বটক্স লাগিয়েছি, ভ্রু-তে ট্যাটু করিয়েছি, চর্বি জমা থামিয়েছি’।
এরকম আরও দু চারজনের সাথে কথা বলেছেন বিবিসির সংবাদদাতা বেটা শাহ। এদের একজন ড্যানি বোম্যান। বয়স ২৩। তিনিও সেলফি তুলে সোশাল মিডিয়ায় দিতে দিতে আসক্তির শিকার হয়েছিলেন। তিনি আয়নার সামনে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত কাটিয়েছেন, ক্রমাগত সেলফি তোলার জন্য। আর সব ছবিতেই তিনি তার চেহারার ত্রুটি খুঁজে পেতেন। তিনি একসময় আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। এর পর রিহ্যাবে যান। তিনি মনে করেন তার দেহ নিয়ে হীনমন্যতার সমস্যা তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটা বড় ভুমিকা ছিল।
ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক রয়াল সোসাইটি এখন সরকার ও সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা এমন ব্যবস্থা করে যাতে একটানা দু ঘন্টা অনলাইনে কাটালেই তার ফোনে একটা বার্তা দিয়ে তাকে সতর্ক করা হয়।
সোসাইটি বলছে, সামাজিক মাধ্যম কিভাবে তরুণদের ওপর প্রভাব ফেলছে, তাদের মধ্যে বিষণ্নতা এবং দুশ্চিন্তা তৈরি করছে- তা নিয়ে গবেষণার পর তারা এ আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র: বিবিসি
একে/এসএ
আরও পড়ুন