সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডিকশন কাটাবেন যেভাবে
প্রকাশিত : ০৯:১০, ৯ মার্চ ২০১৮
শত ব্যস্ততার মাঝেও বার বারই চোখ চলে যায় স্মার্টফোনের স্ক্রিনে। ডিজিটাল জগতে সারাক্ষণ ‘অন’ থাকার ফলে আপনার সোশ্যাল লাইফের কী দশা হচ্ছে তা একটু ভেবে দেখুন। আর তাই এর থেকে বেরিয়ে আসতে পাল্টে ফেলুন কয়েকটি অভ্যাস।
নোটিফিকেশনস বন্ধ করুন
পুশ নোটিফিকেশনস বন্ধ করে রাখুন। ভেবে দেখুন, কিছুক্ষণ পর পরই আপনার মোবাইলে কত অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন আসতে থাকে। আর তার খেয়াল রাখতে আপনাকে বার বারই চোখ রাখতে হয় স্মার্টফোনের স্ক্রিনে। এতে অহেতুক সময়ই নষ্ট হয়।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট
আপনার স্মার্টফোনে থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোও ডিলিট করে ফেলুন। দেখবেন সময় বাঁচানোর পাশাপাশি আপনার স্মার্টফোনের মেমরিও অনেকটাই খালি হয়ে গেছে।
এফএমএফও-র থেকে দূরে থাকুন
সোশ্যাল মিডিয়া সৌজন্যে আজকাল একটি নতুন টার্ম প্রায়শই শোনা যায়। ফিয়ার অব মিসিং আউট (এফওএমও)। এটি একেবারেই মার্কেটিং গিমিক। দুনিয়ার যে প্রান্তে যা কিছু ঘটছে তা সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে জানতে হবে, এমন নয়। এফএমএফও-র ‘ভয়ে’ সারা ক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করুন। দেখবেন আপনার সামাজিক জীবন বেশ সরল খাতেই বইছে।
বাস্তবে যোগাযোগ বাড়ান
ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে নয়, বরং বাস্তবে কথাবার্তা চালিয়ে যান। ব্যস্ত রুটিনের বাইরে খানিকটা সময় পেলে বরং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করুন। মা-বাবাকে নিয়ে যান ছুটি কাটাতে। বা আপনার পার্টনারের সঙ্গে উইকএন্ড ট্যুর করুন। অথবা একা একাই চলে যান কোনও গ্যালারিতে।
ডিসপ্লের কালার বদলে ফেলুন
আপনার স্মার্টফোনের ডিসপ্লে কালার বদলে ধূসর করে ফেলুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ক্রিন অ্যাডিকশনের একটি অন্যতম কারণ হল স্মার্টফোনের রংচঙে ডিসপ্লে। ট্রিস্টান হ্যারিস নামের এক প্রাক্তন ফোন অ্যাডিক্ট-এর মতে, এটি সত্যিই কাজে আসে।
স্মার্টফোনে অ্যালার্ম সেট নয়
অফিসে যাওয়ার জন্য অনেকেই স্মার্টফোনে অ্যালার্ম সেট করে রাখেন। এবং বালিশের কাছে বা বেডসাইড টেবলের ওপর স্মার্টফোন রেখে রাতে ঘুমোতে যান। এ বার থেকে বরং স্মার্টফোনের বদলে ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করুন। এতে স্মার্টফোনে নোটিফিকেশন এলে সহজেই হাত বাড়িয়ে তা দেখা যায়। ফলে ঘুমের দফারফা হয়। ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করলে অন্তত ওই নোটিফিকেশনগুলির দাপট থেকে বাঁচবেন। তাতে রাতে ঘুমের ব্যাঘাতও কম হবে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার।
একে// এসএইচ/
আরও পড়ুন