বেসিস নির্বাচন
ব্যতিক্রমী প্রচারণা ‘ভোট ফর রাইট ক্যান্ডিডেট’
প্রকাশিত : ২১:২৪, ১৫ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ২১:৫০, ১৫ মার্চ ২০১৮
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমেই যোগ্য নেতৃত্বকে খুঁজে নেওয়া হয়। সব নির্বাচনেই প্রার্থীরা নিজেদের জন্য ভোট চেয়ে ক্যাম্পেইন করে থাকেন। কিন্তু আসন্ন বেসিস নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেখা গেছে নির্বাচন প্রচারণার এক ভিন্ন স্টাইল। নাম ‘ভোট ফর রাইট ক্যান্ডিডেট’।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার এন্ড সার্ভিসেস বা বেসিসের ২০১৮-২০ দুই বছর মেয়াদী নির্বাহী কমিটির আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে এমনই প্রচারণার বিষয়টি সামনে চলে আসে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এমন প্রচারণা কোন প্রার্থী অথবা প্যানেল থেকে আসেনি। বরং বেসিসের সদস্য এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টরাই এমন প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছেন।
‘ভোট ফর রাইট ক্যান্ডিডেট’ অথবা ‘সঠিক প্রার্থীর জন্য ভোট’ এর মূল অর্থ খুঁজতে গিয়ে সংগঠনটির বিভিন্ন সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তুলে ধরছেন কেমন বেসিস বোর্ড তারা চান কিংবা কেমন প্রার্থী তারা চান এমন নানা ধরনের মতামত।
নির্বাচনের এমন সময়ে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন সদস্য এই প্রতিবেদককে বলেন, পরিচালনা পর্ষদের ৯ জন সদস্য দুবছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়ে বোর্ডে আসেন। কিন্তু অর্ধেক পরিচালক কিছুদিন পরেই পুরোপুরি ভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। বড় কোন অনুষ্ঠান ছাড়া তাদের কে সামনে দেখা যায়না। প্রতিবারই নির্বাচনের আগে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি প্রার্থীরা দিয়ে থাকেন। কিন্তু পাশ করার পর সেগুলো খুব একটা দেখবাল করা হয়না। কিছু পরিচালক সদস্য কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষা বাদ দিয়ে নিজেদের আঁখের ঘোচানতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। এমন সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসবে এমন প্রার্থীকেই তারা নির্বাচনে দেখতে চান; নির্বাচিত করতে চান। এই উদ্দেশ্য থেকেই সঠিক এবং যোগ্য প্রার্থী বাছাই করার জন্যই এই উদ্যোগ।
উদ্যোগটি ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে সংগঠনটির ভোটার এবং প্রার্থী উভয়ের মধ্যেই। ‘ভোট ফর রাইট ক্যান্ডিডেট’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রচারণা করছেন কয়েকজন প্রার্থীও। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও এর ব্যাপক প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
ফেসবুকে এই বিষয়ক একটি গ্রুপও খোলা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে “ভোট ফর রাইট ক্যান্ডিডেট-বেসিস”। এই গ্রুপের সদস্য ভোটার এবং প্রার্থীদের মাঝেও প্রচারণাটিকে ঘিরে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক আগ্রহ।
বেসিস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস এই প্রচারণাটির মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনে এমন প্রার্থীই উঠে আসবেন যারা বেসিসকে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যাবেন। তাদের যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমেই বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশি সফটওয়্যার শিল্পের বাজার সৃষ্টি হবে এবং দেশীয় বাজার কে আরো বড় করার ক্ষমতা থাকবে তাদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০১৮-২০ সেশনের জন্য পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। এবারের নির্বাচনেই সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪০ টি মনোনয়ন পত্র উঠিয়েছেন। আজ ১৫ মার্চ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
টিকে
আরও পড়ুন