ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

আইটি ইনকিউবেটরের আবেদন শুরু আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৫, ১৯ মার্চ ২০১৮

বাংলালিংক এবং বাংলাদেশ সরকারের তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের যৌথ উদ্যোগে শুরু হতে যাচ্ছে ‘আইটি ইনকিউবেটর-২.০”। ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের জন্য উন্নয়নমূলক এই কর্মসূচির দ্বিতীয় আসর এটি।

এ বিষয়ে রাজধানীর কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, আইটি ইনকিউবেটর এর লক্ষ্য দেশের সম্ভাবনাময় ডিজিটাল স্টার্টআপগুলিকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা।

২০১৬ সালে প্রথমবারের মত আয়োজিত হয়েছিল আইটি ইনকিউবেটর। এর সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, উদ্যমী উদ্যোক্তাদের অবকাঠামো, উপকরণ ও নির্দেশনাগত সাহায্য প্রদানের দিকে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হবে এবারের আসরে।

অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপগুলির মধ্য থেকে অভিনবত্ব ও ব্যবসায়ীক সম্ভাবনার ভিত্তিতে কয়েকটি স্টার্টআপকে নির্বাচন করে জনতা টাওয়ারে অবস্থিত আইটি ইনকিউবেটর-এ উল্লেখিত সুবিধাগুলি প্রদান করা হবে।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী স্টার্টআপগুলিকে https://incubator.banglalink.net এই লিংকের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত।     

আইটি ইনকিউবেটর বাংলালিংক-এর স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের ফ্ল্যাগশিপ কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি প্রোগ্রাম “মেক ইওর মার্ক”-এর অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের যেসব স্থান ভিওনের কার্যক্রমের আওতাধীন সেসব স্থানের আইটি খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, “সরকার ও একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান কিভাবে সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে আইটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে তার একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে আইটি ইনকিউবেটর। আমি তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বাংলালিংক ও ভিওনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তরুণ উদ্যোক্তাদের দক্ষতার উপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। সাফল্য অর্জনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের সঠিক নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সাহায্য প্রয়োজন। আইটি ইনকিউবেটর-এর মতো উদ্যোগ আরও স্টার্টআপকে এগিয়ে আসতে এবং আইটি খাতে ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।”

আর বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “দেশের উদীয়মান স্টার্টআপগুলির উন্নয়নের লক্ষ্যে আইটি ইনকিউবেটর ২.০ শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ডিজিটালাইজেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া, যার অগ্রগতির জন্য নতুন ও অভিনব চিন্তার প্রয়োজন। বাংলালিংক এই প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করেছে যাতে করে স্টার্টআপগুলি এখানে নিজেদেরকে আরও সমৃদ্ধ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে। আমরা বিশ্বাস করি, মেধাবী তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা দেওয়া গেলে তারা অচিরেই আইটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম্যুনিকেশনস্‌ইউনিয়নের মহাসচিব হওলিন ঝাও আইটি ইনকিউবেটর উদ্বোধন করেন। প্রথম বারের আয়োজনে অংশগ্রহণকারী ৪০০ স্টার্টআপের মধ্য থেকে সেরা কয়েকটিকে এক বছরের জন্য আইটি ইনকিউবেটরে যাবতীয় সুবিধা প্রদান করা হয়।

//এস এইচ এস//   

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি