ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

তথ্যপ্রযুক্তিতে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার পেল বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫২, ২১ মার্চ ২০১৮

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০১৮’ অর্জন করেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘মুক্তপাঠ’ নামক উদ্ভাবনী প্রকল্পটির জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সুইজাল্যান্ডের জেনেভায় এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

‘মুক্তপাঠ’হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে একটি ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে যুব সমাজ, নারী, পেশাদার ব্যক্তি ও প্রবাসী কর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিরা শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত হতে পারবেন।

এছাড়া এটুআই প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের সহায়তায় এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বাস্তবায়নে তৈরি ‘অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’- এর জন্যে বাংলাদেশ পুলিশ ও এটুআই প্রোগ্রাম যৌথভাবে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার অর্জন করেছে।

‘জনগণের দোরগোড়ায় সেবা’- স্লোগানকে সামনে রেখে বঞ্চিতদের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে পরপর পাঁচবার জেনেভায় আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ডব্লিউএসআইএস ফোরামে এটুআই প্রোগ্রাম এই সম্মাননা অর্জন করলো।

ডব্লিউএসআইএস হচ্ছে আইসিটি প্রয়োগের মাধ্যমে উন্নয়ন বিষয়ে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম প্লাটফর্ম, যার মাধ্যমে আইসিটি প্রয়োগ করে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং নিশ্চিত করা হচ্ছে যেন কেউ পিছিয়ে না পড়ে।

এক দশক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ঐতিহাসিক আহ্বানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এই কার্যক্রম ২০১৪ সালে আইটিইউ এর নজরে আসে এবং সেই বছর তারা দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায় ডিজিটাল সেন্টার বাস্তবায়ন প্রকল্পকে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার প্রদান করে।

তখন থেকে এ পর্যন্ত এটুআই প্রোগ্রাম তার ১২টি উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের জন্যে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার অর্জন করেছে। তার মধ্যে রয়েছে, ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’, যেখানে সরকারের ৪৩ হাজার অফিসকে এক ছাতার নিচে আনা হয়েছে। ‘ডিজিটাল টকিং বুক’-এর মাধ্যমে ১০০টির বেশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে তাদের জন্যে অভিগম্য বই প্রদান করা হয়েছে (যা প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় পাঠ্যপুস্তক দিবসে প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে বিতরণ করা হয়)।

‘ই-নথি’সিস্টেম, যার মাধ্যমে সরকারি অফিসের নথি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল করা হচ্ছে। ‘নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন আনয়নে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার’বাড়িয়ে সরকারকে জনগণের আরও কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

২০১৪ থেকে ২০১৮-এর মধ্যে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘গ্রামীণ পর্যায়ে টেলিমেডিসিন সেবা’, ‘সেবা প্রক্রিয়া সহজীকরণ’, ‘অনলাইনে পরিবেশ ছাড়পত্র’, ‘শিক্ষক বাতায়ন’ এবং উদ্ভিদ সমস্যা শনাক্তকরণে ‘কৃষকের জানালা’।

নাগরিক সেবা উদ্ভাবনে সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে বাংলাদেশ নেতৃত্ব প্রদান করছে এবং বিশ্বের প্রথম সাউথ-সাউথ নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন (এসএসএন৪পিএসআই) তৈরি ও উদ্বোধন করেছে, যার সচিবালয় রয়েছে জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন (টঘঙঝঝঈ)-এর ব্যাংকক কার্যালয়ে।

এটুআই প্রোগ্রাম এই ঐতিহাসিক মার্চ মাসে অর্জিত ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারটি আমাদের মুক্তির সংগ্রামের অমর শহীদদের প্রতি উৎসর্গ করছে এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সাজিব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি তাদের দিক-নির্দেশনা, প্রেরণা এবং সহায়তার জন্যে।

ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারটি আইটিইউ’র সেক্রেটারি জেনারেল হাওলিন ঝাঁও এর কাছ থেকে গ্রহণ করেন এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন)। সঙ্গে ছিলেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী, পলিসি স্পেশালিস্ট (শিক্ষা ইনোভেশন) আফজাল হোসেন, ড. রমিজ উদ্দিন, পলিসি অ্যাসোসিয়েট শাহনুর সাব্বির। অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট উদ্যোগের জন্য ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল হারুন অর রশিদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (আইসিটি) মোঃ রুহুল আমিন।

সূত্র: বাসস

একে//এসি 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি