ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

‘স্মার্ট কার’ নিয়ে কাজ করছে হুয়াওয়ে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫২, ২৯ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৫৭, ৩০ মার্চ ২০১৮

‘স্মার্ট কার’ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ভোডাফোন জার্মানি এবং গাড়ির জন্য আধুনিক যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান  বোস এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান দুইটির সাথে হুয়াওয়ের যুক্ত হওয়ার ফলে হুয়াওয়ে এখন থেকে প্রতিষ্ঠান দুটির সাথে সেলুলার ভেহিকল টু এভরিথিংস (সিভিটুএক্স) তৈরিতে প্রযুক্তি সেবা দেবে। বিশেষ করে চালকদের সহায়তাকারী বোসের অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল (এসিসি) নিয়ে কাজ করবে হুয়াওয়ে। সিভিটুএক্স এবং এসিসি প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি স্মার্ট গাড়ি গ্রাহকদের আরও বেশি দক্ষ ও নিরাপদ সেবা দেবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যেসব গাড়িতে সিভিটুএক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে সেসব গাড়ির সাথে আশপাশের অন্যান্য গাড়ি স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করতে পারবে। সিভিটুএক্স প্রযুক্তি মূলত রিয়েল টাইম অ্যালার্ট সিস্টেম, যা গাড়িগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপণে সহায়তা করবে। পাশাপাশি যদি আশপাশের গাড়ি হঠাৎ লেন পরিবর্তন করে বা ব্রেক করে তাহলে সেটা অন্য গাড়ির যাত্রীদের আগেই সতর্ক করে দেবে। ফলে এটা শুধু চালক বা যাত্রীদের সতর্কই করবে না বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী গাড়ির গতি বাড়াতে বা কমাতে সহায়তা করবে বলে হুয়াওয়ের থেকে বলা হয়। 

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) লিওন শিয়া জানান, ‘ডিজিটাল রূপান্তরে গ্রাহকদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হুয়াওয়ে সব সময় উদ্ভাবনী এবং শীর্ষস্থানীয় তথ্য প্রযুক্তি সম্বলিত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার পণ্য সরবরাহের চেষ্টা করে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জন্য স্মার্টকার প্রযুক্তি একটি বড় সুযোগ। কারণ বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছে। ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও এখন অনেক বেড়েছে এবং অনেক মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। এখন গাড়িগুলোতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন।’

এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার স্মার্ট কার বা গাড়ি তৈরি এবং চালকবিহীন গাড়ি চলাচলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বার আরও উন্মোচন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন লিওন শিয়া।।

হুয়াওয়ে থেকে বলা হয়, স্মার্ট গাড়ি তৈরির এই প্রজেক্টের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো, সম্পূর্ণ আধুনিকভাবে সংযুক্ত একটি ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ ব্যবস্থায় গাড়িগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে এবং সরাসরি তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে। এর ফলে চালক তার গাড়ির সামনে-পেছনে বা পাহাড়ের বাঁকে কী ঘটছে বা সেখানে কোনো গাড়ি অবস্থান করছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে পারবে, যা চালক নিজে দেখতে পেতেন না। এই প্রযুক্তি ব্যবহার জ্বালানি সাশ্রয় করবে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঝামেলাবিহীন ও অধিক কার্যকর করবে বলেও দাবি প্রতিষ্ঠানগুলোর।  

//এস এইচ এস//টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি