ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

‘নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে শিশুদের শপথ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১৯, ৩০ মার্চ ২০১৮

ইন্টারনেট ছাড়া এখন কেউই চলতে পারে না। কিন্তু সেই ইন্টারনেটে যা আসছে, তার সব কিছুই সত্যি না, শিশুদের জন্যও সব নিরাপদ না। শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব তথ্য জানায় কয়েক হাজার শিশু।

শিশু-কিশোরদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট’ প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটারে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউনিসেফ ও ফেইসবুক।

অনুষ্ঠানে তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে কণ্ঠ মিলয়ে শপথ নেয়। শপথে তারা উচ্চারণ করেন, ‘আমি ইন্টারনেট নিরাপদে ব্যবহার করব। ইন্টারনেট ব্যবহারে সর্তক হব।’

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইউনিসেফের কমিউনিকেশন ম্যানেজার এ এম শাকিল ফয়জুল্লাহ এক জরিপ তুলে ধরে বলেন, যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, তাদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। শিশু-কিশোররা ইন্টারনেটের নিরাপত্তা নিয়ে কী জানে, তা বোঝাই ছিল জরিপের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, জরিপে অংশগ্রহণকারী ১১ হাজার ৮২১ জন শিশু-কিশোরের ৮১ দশমিক ২ শতাংশ বলেছে, তারা প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। আর ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইল থেকে।

এর মধ্যে ৫ দশমিক ১ শতাংশ অনুমতি ছাড়া অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি প্রকাশের কথা স্বীকার করেছে। ৩ ধমমিক ৩ শতাংশ বলেছে, অনুমতি নেওয়া অত গুরুত্বপূর্ণ নয়। সোশাল মিডিয়ায় হয়রানির শিকার হওয়ার কথা বলেছে ১৩ শতাংশ শিশু।

তিনি আরো বলেন, জরিপের ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, অপরিচিত কেউ সোশাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত ছবি বা পারিবারিক তথ্য চাইলে, তাকে সামান্য তথ্য দিলে কোনো ক্ষতি হবে না। আর ৫২ শতাংশ মনে করে, অপরিচিতি কেউ অনলাইনে বন্ধু হতে চাইলে তাতে তাদের আপত্তি নেই।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আপনারা শিশুদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেন যে, ইন্টারনেটে যে যা করছে, সে কাজে সবার সতর্ক থাকা দরকার। খেয়াল করতে হবে অনলাইনে, ফেইসবুকে যা দেখছি তা সব সত্য নয়।

শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, না দেখে কারও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করা যাবে না। অনলাইনে অপরিচিত কারো সাথে চ্যাট করা বা অচেনা অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা যাবে না। এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদার, ফেইসবুকের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার পলিসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শ্রুতি মঘি, বিটিআরসির কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল দুনিয়ার বিপদ থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখা এবং নিরাপদ অনলাইন কনটেন্ট ব্যবহারের বিষয়ে ইউনিসেফ ও ফেইসবুকের উদ্যোগে বছরব্যাপী সচেতনামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তিনি জানান, এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের এক লাখ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনাতামূলক কনটেন্ট পৌঁছে দেওয়া হবে।

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি