ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৩ শতাংশ শিশু-কিশোর হয়রানির শিকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:০৯, ৩১ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৪৬, ৩১ মার্চ ২০১৮

দেশের ১৩ শতাংশ শিশু-কিশোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির শিকার হচ্ছে। একাধিকবার হয়রানির শিকার হচ্ছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। হয়রানির কারণে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ)। শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে ‘শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে এ জরিপ প্রকাশিত হয়। ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও ফেসবুক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিন সপ্তাহ আগে ইন্টারনেটে নিরাপত্তা নিয়ে শিশুরা কী ভাবে? তাদের পরিস্থিতি কী? এসব জানতে ইউনিসেফ সারা দেশে জরিপ পরিচালনা করে। ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার এ এম শাকিল ফায়েজুল্লাহ জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন।

অনলাইনভিত্তিক এই জরিপটি নয় লাখের বেশি শিশু-কিশোরের কাছে পৌঁছায়। এতে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১১ হাজার ৮২১ জন ছেলে-মেয়ে অংশ নেয়।

জরিপ থেকে জানা যায়, ৮১ দশমিক ২ শতাংশ শিশু-কিশোর সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিন সময় কাটায়। এদের ৯০ শতাংশই মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ৮০ দশমিক ১ শতাংশ শিশু-কিশোর কোনো ধরনের হয়রানির বা উত্ত্যক্তের শিকার হয়নি। জরিপের অংশ নেওয়া শিশু-কিশোরদের ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ জানায়, কোনো অপরিচিত লোক তাদের অনলাইনে বন্ধু হতে চাইলে, তারা বন্ধু হয় এবং ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু-কিশোর বন্ধু হতে চায় না বলে জানায়।৩

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শিশুরা ট্যাব ব্যবহার করবে, ইন্টারনেট ব্যবহার করবে, এটাই আমরা চাই। ওরা নিরাপদভাবে ব্যবহার করবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানের ভাণ্ডার হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে। ঝুঁকির মধ্যে যাতে কেউ না পড়ে,  সে জন্য মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে।

ইউনিসেফের এ দেশীয় প্রতিনিধি এডুওয়ার্ড বেগবেদার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই পৃথিবী পরিবর্তন করে ফেলেছে। কম বয়সীরা বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি শিশুরা ব্যবহার করছে তথ্য খুঁজতে। তবে শিশুদের হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা খুব সহজেই শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে পরিচয় লুকিয়ে। এটা কমাতে অনেক গবেষণা ও সচেতনতা প্রয়োজন।

এমএইচ/টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি