সালনেট এর উদ্যোগে বজ্রপাত সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা
প্রকাশিত : ০০:০৩, ৩০ জুন ২০২০
বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা এবং সচেতনতা প্রচারের কৌশল সম্পর্কিত দুই দিনের আন্তর্জাতিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, উগান্ডা, জাম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের বর্তমান বজ্রপাত অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিন ব্যাপী জুম অনলাইনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজনে ছিল দক্ষিণ এশীয় বজ্রপাত নেটওয়ার্ক (সালনেট)।
খ্যাতিমান বিজ্ঞানী এবং প্রফেসর চান্দিমা গোমস, ডঃ মেরি অ্যান কুপার (অঈখঊঘবঃ), রন হোলের মতো বজ্রবিদ্যায় বিশেষজ্ঞও এতে অংশ নিয়েছিলেন।অনুষ্ঠানের আয়োজনে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সাউথ এশিয়ান লাইটনিং নেটওয়ার্ক (সালনেট) এর চেয়ারম্যান ডাঃ শ্রীরাম শর্মা।
প্রথম দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বর্তমান বজ্রপাত অবস্থা সম্পর্কে উপস্থাপনার জন্য নির্ধারিত ছিল এবং দ্বিতীয় দিনটি বজ্রপাত সুরক্ষার মূল প্রযুক্তিগত দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
‘বজ্রপাত কেন্দ্রের অগ্রগতি এবং অবস্থা’ বিষয়ে বাংলাদেশের অংশ উপস্থাপন করেছিলেন ডঃ মুনির আহমেদ। এই অনলাইন প্রোগ্রামে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর একেএম সাইফুল ইসলাম (বুয়েট), আবাহন মজুমদার (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর), মিস কাওছার পারভিন (বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর), মেহেরুন নেসা ঝুমুর (ডিজেস্টার ফোরাম), আউয়াল চৌধুরী (এসএসটিএএফ), ওমর ফারুক ( বাসা), মোঃ সাজেদুল ইসলাম (বাসা/বিএলএসি)।
বাংলাদেশের উপস্থাপনাটির মূল লক্ষ্য ছিল বজ্রপাতের বর্তমান অবস্থা, বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি, যে অঞ্চল/জেলাগুলিতে বজ্রপাত বেশি হচ্ছে তা তুলে ধরা। এটি হাওর অঞ্চলে বেশি হচ্ছে এবং সেখানে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, কেননা এপ্রিল-মে মাসে খোলা মাঠে বোরো ধান কাটার সময় এবং সেসময়ই বজ্রপাত বেশি হয়।
উপস্থাপনায় সরকারের বজ্রপাত সুরক্ষা কর্মসূচী, ডিজেস্টার ফোরামের তথ্য, বাসা সংস্থার বজ্রপাত সচেতনতা কেন্দ্রের সচেতনতা কর্মসূচি, নেটওয়ার্কিং, গবেষণা ও সচেতনতা সম্পর্কিত অন্যান্যদের কার্যক্রম ও কর্মসূচির ওপর আলোকপাত করা হয়।
২০০৩ সাল থেকে বজ্রপাত সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে কী করা হচ্ছে সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। বজ্রপাতে মৃত্যু হ্রাস করতে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাব দেন।
এসি
আরও পড়ুন