ভূয়া ট্রেনিং সেন্টার বন্ধ হলে আউটসোর্সিং বাড়বে
প্রকাশিত : ১২:৪৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
দেশের সব প্রান্তে দ্রুত গতির নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা চালু, আর ভূয়া ট্রেনিং সেন্টার বন্ধ হলে আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশ অনেক দূর যাবে।
দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা বলছেন, ডলার আয়ের গ্যারান্টি নয়, ভর্তির আগে ট্রেনিং সেন্টারের মান ও কোর্স কারিক্যুলাম দেখে নেয়া জরুরি।
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড সার্ভিস পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ৬৪টি জেলায় শেখ রাসেল ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করছে সরকার।
ফ্রিল্যান্সারদের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো কি? একুশে টেলিভিশনের পক্ষে জানতে চাওয়া এ প্রশ্নের উত্তরে তিন ও চার নম্বরে উঠে এসেছে, দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংকট আর ভূয়া কোচিং সেন্টার।
বিজ্ঞাপনের লোভনীয় ফাঁদে পড়ে দক্ষতা অর্জনকে পাশ কাটিয়ে অনলাইনে ছোটখাটো কাজ পাওয়াকেই সফলতা মনে করছেন অনেকেই। ফলে নির্দিষ্ট সময় পর ঝরে পড়ার হার বাড়ছে।
লেবুলাস আইটির ডিরেক্টর অপারেশন্স মো. আরিফুর রহমান জানান, প্রত্যেকটা অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইট আছে। সেই ওয়েবসাইটে ঢুকে প্রজেক্ট কনটেইন দেখে নিতে পারেন, সেই কনটেইনটা কতটুকু রিচ। যার কাছে শিখবেন, সে ট্রেনার ফ্রিল্যান্সার কিনা এই দুটি দেখে বিষয়টির উপর ফোকাস করে আপনি ট্রেনিং সেন্টার চ্যুজ করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ফ্রিল্যান্সার রাকিবুল ইসলাম তুর্য জানান, একটা ইনভেস্টমেন্ট করলে সে আপনাকে আর্নিং করে দিবে বা এই টাইপের ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোনো রিকোয়্যারমেন্টের দরকার নাই। এখানে ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা।
মানহীন এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে নিজেদেরই সচেতন হওয়া জরুরি বলছেন এই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, নিজে থেকে শিখতে হবে, আমি যে ম্যাটারিয়াল পাচ্ছি সেটাকে অ্যাপলাই করতে হবে। দরকার হলে বই দেখে, ইন্টারনেট ঘেঁটে আরও আমাকে শিখতে হবে। সুতরাং আমি যদি সম্পূর্ণ ডিপেন্ট করে থাকি সেই কোচিংয়ের উপর, তাহলে কিন্তু আমি সত্যিকার অর্থে শিখতে পারবো না।
দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা না পাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে গ্রামের ফ্রিল্যান্সাররা। এ সম্পর্কে ফাইডার কমিউনিটি লিডার ফাহিম উল করিম জানান, গ্রামে দ্রুতগতির ইন্টারনেট না থাকায় অনেক ফ্রিল্যান্সারদের কাজে অসুবিধা হচ্ছে। আমি নিজেও একজন ভুক্তভোগী।
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, দেশের সব জেলায় স্থাপিত হতে যাওয়া শেখ কামাল আইটি ও ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল সেন্টারে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত স্পেস বরাদ্দ থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গ্রাম পর্যন্ত একটা রিল্যাবল ইন্টারনেট কানেক্টিবিটি পৌঁছে যাচ্ছে ইডিসি প্রকল্পের আওতায়। যেটা ইউনিয়ন থেকে গ্রাম পর্যন্ত যাচ্ছে অপরদিকে উপজেলা পর্যন্ত আমাদের ট্রেনিং সেন্টার, ইম্পেলিমেন্ট সেন্টার ও সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার হয়ে যাচ্ছে। আবার জেলা পর্যন্ত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার এবং বিভাগ-জেলা পর্যায়ে সফটওয়্যার আইটি টেকনোলজি পার্ক ও হাইটেক পার্ক হচ্ছে।
এছাড়াও এলএডিপি প্রজেক্টের ট্রেনিংগুলোকে প্রতিনিয়ত আপডেট করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পলক বলেন, তারা এখন বিভিন্ন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ছোট্ট একটা জায়গা নিয়ে উদ্যোক্তা তৈরির ব্যবস্থা করছে।
এএইচ/এমবি
আরও পড়ুন