ফেসবুকে প্রতারণা : ছয় মাসে ৩৭৮ জন শনাক্ত (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:০৩, ৪ মে ২০২১
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনায় গেলো ৬ মাসে ৩৭৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরা অসুস্থজনের চিকিৎসার কথা বলে প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেয়, পরে ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় টাকা। সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর জানান, মামলা হলে ৭ বছরের জেল ও অর্থদণ্ডের বিধান আছে।
নাসরিন জাহান, ফেইসবুক প্রোফাইল বলছে পড়ালেখা করেছেন যুক্তরাজ্যে। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের ভূয়া পরিচয়টা রয়েছে তার ফেসবুকে। সমাজসেবা করেন, বানান সিনেমা, আছে চাইল্ড হেলপ ফাউন্ডেশন নামে সেবা প্রতিষ্ঠানও। এসব আসলে তার নিজের বিজ্ঞাপন। এর আড়ালে চলে প্রতারণা- তাও বিশ্বব্যাপী।
মার্চের ৩০ তারিখে ফেইসবুকে নাসরিন জাহান নামের এই নারী প্রতারক পোস্ট দেন একজনের কিডনী চিকিৎসার সহায়তা চেয়ে। সাথে যুক্ত করেন বিকাশ নম্বর। শুধু চিকিৎসা নয়, মেয়েটির পরিবারের ভরণ-পোষণেরও সহায়তা চেয়ে নানান জনের কাছে হাতিয়ে নেন টাকা।
কখনও আমেরিকা-কানাডা, কখনওবা পরিচয় দেন লন্ডন প্রবাসী হিসেবে। বর্তমান-সাবেক মন্ত্রী, ভিভিআইপিদের সাথে ফেসবুকে তার অনেক ছবি। মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে রোগীর ঠিকানা চাইলে সটকে পড়েন তিনি।
মহিলা আওয়ামী লীগের পদ-পদবি ব্যবহার করে এমন প্রতারণার কথা জানেন না সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমন প্রতারকদের কোনও ছাড় নয় বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম বলেন, নাসরিন জাহানসহ যে কেউ আমাদের সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকলে বা অপকর্মে লিপ্ত থাকলে সেই অন্যায় কাজের কোন দায়ভার বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ নিবে না।
নাসরিন জাহানের মতন প্রতারণার ঘটনা এখন অহরহ। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট বলছে, এমন প্রতারণার ঘটনায় মামলা হলে তা আমলে নেয়া হয়।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের এসএসপি রিয়াজুল মাসুদ বলেন, আইডির যে হোল্ডার তাকে আমরা লোকেট-ট্রেস করার চেষ্টা করছি। যারা প্রতারণার শিকার হয় তারা আমাদের সাইবার সেন্টারের ভিকটিক সাপোর্ট সেন্টার রয়েছে সেখানে অনলাইন, মেনুয়ালি, ভাচুয়ালি অভিযোগ করতে পারেন। অভিযোগ করলে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিব।
সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, এই বিষয়টি ইদানিং আমাদের এখানে খুব বেশিভাবে হচ্ছে। ডিজিটাল অ্যাক্টের ২৩, ২৪ ও ২৬ ধারায় মামলা নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ৫ বছরও হয়ে থাকে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারকদের দৌরাত্ম্য বন্ধে সচেতন হতে হবে নাগরিককেই।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন