ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

জালিয়াতির অভিযোগে ‘অ্যামাজন’-এ ৬০০ চীনা ব্র্যান্ডকে নিষিদ্ধ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

বর্তমানে অনলাইন জিনিসপত্র কেনাকাটার ক্ষেত্রে অ্যামাজনের জুড়ি মেলা ভার। অনলাইন এই অ্যাপটির মাধ্যমে আমরা বাড়িতে বসেই নিজেদের পছন্দ মতো প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে পারি।

অনেকেই খেয়াল করেছেন যে, অ্যামাজন থেকে বেশকিছু জনপ্রিয় প্রযুক্তি অ্যাক্সেসরিজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এটি কোনো ভুল নয়, বরং একটি বড় ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠানকে অ্যামাজন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অ্যামাজনের দাবি, সরিয়ে দেওয়া চায়না ব্র্যান্ডগুলো অ্যামাজনের নীতি লঙ্ঘন করছিল। যা মোটামুটি অপব্যবহারের পর্যায়ে রয়েছে।

আমাজনের সহ-সভাপতি সিডির থাই গত শুক্রবার হংজুতে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘অ্যামাজন ৬০০টি চীনা ব্র্যান্ডের এবং প্রায় ৩০০০ ব্যবসায়ীক অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। এর আগে বেশ কয়েকবার সতর্কবার্তা দেওয়ার পর এসব কোম্পানীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।’

এর আগে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিছু চায়না ব্র্যান্ড তাদের সম্পর্কে ই-কমার্স সাইটে ইতিবাচক পর্যালোচনা বা পজিটিভ ফিডব্যাকের বিনিময়ে গ্রাহকদের উপহার হিসেবে কার্ড দিচ্ছে।

যার জেরে দ্য ভার্জকে দেওয়া এক বিবৃতিতে অ্যামাজন জানিয়েছিল, ‘অ্যামাজন কঠোর পরিশ্রম করেছে। যাতে এখান থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহকরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মে কেনাকাটা করতে পারেন। পাশাপাশি বিক্রেতারাও সুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে তাদের ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ পান।’

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায় ‘অ্যামাজন পণ্য পর্যালোচনার নির্ভুলতা এবং সত্যতার ওপর নির্ভর করে। এর উদ্দেশ্য একটাই যে গ্রাহকদের অবহিত করা যাতে তারা কেনার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এজন্য আমাদের পর্যালোচনাকারী ও বিক্রয় অংশীদার উভয়ের জন্যই স্পষ্ট নীতি রয়েছে। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় এই নীতি কেউ লঙ্ঘন করলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’

অ্যামাজন স্পষ্ট জানিয়েছে, এটি কোনোভাবেই চায়নাকে ‘টার্গেট’ করার অভিযান নয়। এটি একটি বিশ্বজুড়ে প্রচার অভিযান। এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা অপব্যবহার শনাক্তকরণের কাজকে ক্রমশ উন্নত করতে চলেছি। আমরা যেসব পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছি, তা আমাদের গ্রাহকদের সর্বোত্তম স্বার্থে।’

এদিকে অ্যামাজনের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণার পর সাউথ মর্নিং চায়না পোস্টের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চায়না ব্র্যান্ডগুলোকে অ্যামাজনের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে অনেক কোম্পানিই এবার ইবে এবং আলি এক্সপ্রেসের মতো অন্যান্য ই-কমার্সে বিনিয়োগ করছে। যা আদতে অ্যামাজনের জন্য ক্ষতিকর হতে চলেছে।
এমএম/ এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি