ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

নভোচারীদের অজানা জীবন (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৬, ৪ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১২:৩৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

মহাকাশে নভোচারীদের জীবন নিয়ে আমাদের অনেকের মাঝেই কৌতুহল কাজ করে। কিভাবে তারা সেখানে থাকেন? ঘুম, খাওয়া দাওয়া,টয়লেট সহ তাদের যৌনজীবনেরই বা কি অবস্থা? এমনকি তাদের বেতন নিয়েও কৌতুহল রয়েছে অনেকের। চলুন নভোচারীদের জীবন সম্পর্কে জানা যাক।

নভোচারীরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে ১০ ঘন্টা কাজে ব্যায় করেন। বাকি ১৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা ঘুম। দুই ঘন্টা শারিরিক ব্যায়াম এবং অন্যান্য সময় খাওয়া দাওয়া সহ নিজের পরিচর্যায় ব্যায় করেন।

স্পেস স্টেশনে বেশির ভাগ খাবারই শুকনো হয়ে থাকে। যাতে করে সেখানে খাবার গুলো খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট না হয়ে যায়। তবে বর্তমানে সেখানে খাবার তৈরীর ওভেন সহ আরো কিছু নতুন পদ্ধতি রাখা হয়েছে।

নভোচারিদের ঘুমানোর জন্য ব্যাবহার করা হয় একটি আধুনিক স্লিপিং ব্যাগ। যেখানে শরীরে প্রায় সকল অংশটুকুকে ঢুকিয়ে শুধুমাত্র মাথার অংশকে বের করে রাখা হয়। মহাকাশে যেহেতু কোন অভিকর্ষন বল কাজ করে না , তাই সেখানে ঘুমানোর জন্য বালিসের ও তেমন একটা প্রয়োজন হয়না।

মহাকাশে নভোচারীদের জন্য টয়লেটের যে ব্যাবস্থা রয়েছে, সেখানে ময়লাগুলকে রিফাইন্ড করা হয়। পরে সেখানে থাকা ডাস্টবিনে সেগুলোকে ফেলে দেয়া হয়।

নাসা বলছে, মহাকাশে এখনও কোনো মানুষ যৌন মিলন করেনি৷ মার্কিন নভচারীরাও এই বিষয়ে কোন কথা বলেননি। মাইক্রোগ্র্যাভিটির কারণে নভচারীরা ওজনহীনতা অনুভব করায় তাদের এস্ট্রোজেন হরমোন কমে যায়৷। আর এস্ট্রোজেন কমে গেলে যৌন মিলনের আকাঙ্খা কমে যায়। 

বর্তমানে যারা নাসায় নভোচারী হিসেবে আছেন তাদের বেতন বছরে ৫৭ লাখ থেকে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকার মতো। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় এই বেতন ঠিক করা হয়৷

জানা যায়, মাথায় তরল জমা, রক্ত কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে বলে আইএসএস থেকে ফেরার পরপর নভচারীদের চেহারা কিছুটা মলিন দেখায়৷ তবে মহাকাশ ভ্রমণের কারণে শরীরের উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে কিনা সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। তবে এটা জানা যায় যে, আপেক্ষিকতার কারণে নভোচারীরা পৃথিবীতে কয়েক মিলিসেকেণ্ড তরুণ হয়ে ফেরেন।

সূত্র: বিবিসি
এমএম


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি