ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪

স্মার্টফোন কেনার সময় যে ৮টি বিষয়ে নজর রাখবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৫, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

এখনকার সময়ে বাজারে আসছে নতুন নতুন স্মার্টফোন। সব কোম্পানি নিজেদের স্মার্টফোন মডেলকে সেরা বলে দাবি করে। এই কারণেই নতুন স্মার্টফোন কেনার সময় কোনটা ছেড়ে কোনটার দিকে যাবেন বুঝতে পারছেন না!

আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই কোন স্মার্টফোনটি আপনার প্রয়োজন। বা স্মার্টফোন কেনার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত? পরবর্তী স্মার্টফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি:

বাজেট
স্মার্টফোন কেনার সময় সবার আগে ঠিক করতে হবে আপনি কত খরচ করতে চান? আপনি যদি মনে করেন ২০ হাজার টাকা খরচ করবেন তবে তার বেশি খরচ করা ঠিক নয়। আপনার বন্ধুর আইফোন ১৩ রয়েছে বলে আপনাকে বাজেটের উপরে গিয়ে ফোন কিনতে হবে না। বেশিরভাগ মানুষ একটি ফোন ২-৩ বছর ব্যবহার করেন। তাই বাজেটের উপরে গিয়ে ফোন কিনলে অকারণে আর্থিক চাপের মুখে পড়তে হতে পারে।

কী প্রয়োজন?
এছাড়াও কেনার আগে বুঝে নিতে হবে ফোন ব্যবহার করে আপনি কী কী কাজ করবেন? যদি শুধুমাত্র কলিং, টেক্সটিং, সোশ্যাল মিডিয়া আর ক্যামেরা ব্যবহারের জন্য ফোন কেনেন তবে হাজার হাজার টাকা বেশি খরচ করে হাই-এন্ড ফ্ল্যাগশিপ কেনার প্রয়োজন নেই। কম দামের ফোনেই এই কাজ করে নিতে পারবেন। আপনি যদি ফটোগ্রাফার অথবা ভ্লগার হন তবে ফোনে চাই একটি ভালো ক্যামেরা। গেম খেলতে ভালবাসলে চাই একটি শক্তিশালী চিপসেট।

অপারেটিং সিস্টেম
এন্ড্রোয়েড না আইওএস? এই প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর হয় না। যার যে প্ল্যাটফর্ম স্বাচ্ছন্দ্য মনে হয় সে সেই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন। আপনি যদি ছোটবেলা থেকে উইন্ডোজ পিসি ব্যবহার করে থাকেন তবে এন্ড্রোয়েড অপারেটিং সিস্টেম আপনার পছন্দ হবে। তবে আইওএস অনেক বেশি ঝলমলে ও ভালো অ্যাপ পাওয়া যায়।

ইকো-সিস্টেম
আপনার বাড়িতে অন্যান্য কী কী ডিভাইস রয়েছে তার উপরেও নির্ভর করে আপনার ফোন কেনার সিদ্ধান্ত। বাড়িতে যদি ইতিমধ্যেই একটি এন্ড্রোয়েড টিভি, উইন্ডোজ কম্পিউটার, গুগুল এসিসট্যান্ট স্পিকার থাকে তবে এন্ড্রায়েড ফোন কেনার সিদ্ধান্ত ভালো হবে। অন্যদিকে বাড়িতে যদি ম্যাক বুক, এ্যাপল ওয়াচ, এয়ার আইপ্যাড় এর মতো ডিভাইস উপস্থিত থাকে তবে আইফোন কিনলে লাভবান হবে।

ফোনের ডিজাইন
সারাদিন সঙ্গে ফোন নিয়ে ঘুরে বেড়ান সকলেই। তাই ফোনের লুকস আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয়। কম দামে গ্ল্যামারাস লুক চাইলে কিনতে পারেন রিডমি নোট ১০ প্রো। অন্যদিকে স্টাইলিশ লুক চাইলে দেখে নিন 
আইফোন ১৩ সিরিজ।

মেরামতযোগ্যতা
কোন ফোন মেরামত করা যায় তা কেনার আগেই জেনে নেওয়া প্রয়োজন। যে ব্র্যান্ডের সার্ভিস সেন্টার বেশি রয়েছে সেই ব্র্যান্ডের ফোন কেনা ভালো হবে। এছাড়াও ফোন মেরামত করা সম্ভব কি না তা ইন্টারনেটে দেখে নিতে পারেন। সম্প্রতি বাজারে আসা ফোল্ডিং ফোন মেরামত কঠিন কাজ হতে পারে। অন্যদিকে আইফোন ১৩ সহজে মেরামত করা যাবে।

নির্ভরযোগ্যতা
ফোন একটি লগ্নি যা আপনি ধীরে ধীরে ফিরে পান। তাই একটি ফোন অন্তত ২-৩ বছর চলা প্রয়োজন। তাই এমন ফোন কিনুন যে ফোনে নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট পেয়ে যাবেন। স্পেশাল এডিশন ফোন না কেনাই ভালো। গ্লাস বিল্ডের ফোন দেখতে ভালো হলেও প্লাস্টিকের তৈরি ফোন ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

অ্যাকসেসারি
অনেকেই ফোনের সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাকসেসারি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তাই এমন ফোন কিনুন যে ফোনে অনেক অ্যাকসেসারি পেয়ে যাবেন। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় নাম আইফোন, তাই আইফোন কিনলে ফোনের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অ্যাকসেসারি ব্যবহার করতে পারবেন যা অন্য কোন ফোনে সম্ভব নয়। এছাড়াও আসুস, মটোরলা’র মতো ব্র্যান্ডের থেকে স্যামসাং ও শাওমির মতো ব্র্যান্ডের অ্যাকসেসারি খুঁজে পাওয়া সহজ।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি