বিশ্বসেরা নিরাপত্তা সরঞ্জাম তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪৪, ২৯ মার্চ ২০২২
প্রথমবারের মতো দেশে তৈরি হচ্ছে নিরাপত্তা নজরদারি সরঞ্জাম। গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে চলছে এর উৎপাদন। গুণে-নামে বিশ্বমানের পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে এই উদ্যোগ যুগান্তিকারি বলে মত হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের।
২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি জেলায় একটি করে হাইটেক পার্ক করতে চায় সরকার। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নিত্য নতুন ডিভাইস তৈরিই প্রধান লক্ষ্য।
সময়ের সাথে সর্বত্র বেড়েছে নিরাপত্তা সরঞ্জামের ব্যবহার। আর এই বিষয়কে মাথায় রেখে বাংলাদেশের এক্সেল ইন্টেলিজেন্ট ও চায়না প্রতিষ্ঠান হিকভিশন যৌথভাবে উৎপাদন শুরু করেছে যা বিশ্বে তৃতীয় দেশ হিসাবে নাম লেখালো বাংলাদেশ।
এক্সেল ইন্টেলিজেন্ট সলিউশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা বলেন, “২০২৫ সাল নাগাদ পার্শ্ববর্তী দেশ এবং বিশেষ করে আফ্রিকান কান্ট্রিগুলোতে রপ্তানি করতে সক্ষম হব।”
বিশ্বমানের এই পণ্য কেন বাংলাদেশে উৎপাদনে বিনিয়োগ! তা জানাচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ায় হিকভিশনের প্রেসিডেন্ট।
দক্ষিণ এশিয়ায় হিকভিশনের প্রেসিডেন্ট হুগো হুয়াং বলেন, “বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনাময় দেশ। করোনার থাবাতেও এডিবি অনেক ভাল, তাই এখানে আমরা নিরাপত্তা সঞ্জামাদির ব্যবসা করতে এসেছি।”
হিকভিশন ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে হার্ডওয়্যার, সফট্ওয়্যার, আইওপি, ডাটা সেন্টার নির্মাণকারি প্রতিষ্ঠানও কাজ করছে বলে জানান পার্কের এমডি।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, “বিদেশি বড় বড় কোম্পানি আমাদের সঙ্গে আসলো। আমাদের ম্যানপাওয়ার তাদের টেকনোলজি ও ফান্ডিং দিয়ে বড় ধরনের একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে।”
নিরাপত্তা নজরদারি সরঞ্জামের চাহিদা মাথায় রেখে এমন উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করছে সরকার। ভবিষ্যতে এইসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়বে আশা আইসটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, “একটি মাত্রা যোগ হল হাইটেক পার্কের সঙ্গে। অন্যান্য মেনিফ্যাকচারিং ইতিমধ্যে কোম্পানিগুলোতে শুরু হয়ে গেছে।”
দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে কাজ শুরু করেছে দেশি-বিদেশি ৮০টি প্রতিষ্ঠান। বাসাবাড়ি-অফিস-আদালত সবখানেই বাড়ছে নিরাপত্তা নজরদারী সরঞ্জামের ব্যবহার। আর এসব যন্ত্রাংশের আমদানি নির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত উৎপাদনে যাচ্ছে হিকভিশন। শুধু উৎপাদন নয় বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও একটি লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন