মঙ্গলেও যুক্তরাষ্ট্র-আমিরাতের সখ্যতা
প্রকাশিত : ১৭:০২, ২৫ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৭:২৭, ২৫ এপ্রিল ২০২২
ভূপৃষ্ঠের উপরকার পারস্পরিক সখ্য এ বার মহাকাশেও প্রসারিত করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
কূটনীতির আঙিনায় দু’দেশের যে-বন্ধুত্ব সুদীর্ঘ কালের, পরিসর বাড়িয়ে তা পৌঁছে যাচ্ছে মঙ্গল গবেষণায়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলের কক্ষপথে প্রথম যান পাঠিয়েছিল আমিরাত। এ বার সেই সংক্রান্ত তথ্য লেনদেন এবং বিশ্লেষণে আমেরিকার হাত ধরেছে তারা। দু’পক্ষেরই লক্ষ্য মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলের অতীত বিশ্লেষণ।
২০১৪ সালে ‘মাভেন’ নামে আমেরিকার একটি কৃত্রিম উপগ্রহ মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে ঢুকেছিল। আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, মাভেন থেকে পাওয়া তথ্য আমিরশাহিকে দেবে নাসা আর আমিরশাহির মঙ্গলযানের আহৃত তথ্য পাবেন মাভেন প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা।
আমিরশাহির মঙ্গল অভিযানের প্রকল্প কর্মকর্তা ওমান শরাফ জানান, আগেকার বিভিন্ন অভিযানে যে-সব তথ্য ঠিকমতো মেলেনি কিংবা যে-সব প্রশ্নের উত্তর অধরা থেকে গিয়েছে, সেগুলির খোঁজেই তাদের উপগ্রহের শরীরে যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। তার সংযোজন, এই প্রকল্পের সূচনা পর্ব থেকেই তারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করে চলেছেন।
নাসার সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করার উপরে বিশেষ জোর দিয়ে আমিরাতের মহাকাশ অভিযানের কর্তা বলছেন, এই যৌথ উদ্যোগ মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে ফলপ্রসূ হবে।
মাভেন প্রকল্পের অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞানী (প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর) শ্যানন কুরির মতে, মাভেন এবং আমিরশাহির উপগ্রহ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে মঙ্গলের তথ্য তল্লাশ করে চলেছে। তাই এই দুই অভিযানের যৌথ উদ্যোগে নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলেও আশা করছেন তারা।
আমিরাতের উপগ্রহটি মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের নীচের এবং উপরের স্তরে নজরদারি চালায়। দিনের বিভিন্ন সময়ে এবং বছরের বিভিন্ন পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে লাল গ্রহের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে নতুন তথ্যের সন্ধান করে চলেছে সে। মূলত মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল কী ভাবে বিবর্তিত হয়েছে, তারই খোঁজ করছে আমিরাত। মাভেনের লক্ষ্য অনেকটা একই। তাই দুই উপগ্রহের সংগৃহীত দু’ধরনের তথ্য একযোগে বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: আনন্দবাজার
এসি
আরও পড়ুন