ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট, মাসে ২৪ কোটি টাকা অপচয়ের শঙ্কা (ভিডিও)

আদিত্য মামুন, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৭, ৭ মে ২০২২ | আপডেট: ১৩:৪৯, ৭ মে ২০২২

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সেবা দিতে উল্টোপথে হাঁটছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাসে ২০ জিবি ইন্টারনেট সুবিধা দেবে মোবাইল কোম্পানি। যা দিয়ে দুই দিনের বেশি ক্লাস করা সম্ভব নয়। এতে প্রতি মাসে ২৪ কোটি টাকা অপচয়ের শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

প্রাথমিকের পাঠদানে আরও বৈচিত্র আনতে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাসে ২০ জিবি ইন্টারনেট সুবিধা দেবে মোবাইল কোম্পানি। প্রতি মাসে ব্যয় হবে ১ কোটি টাকা ৬৮ লাখ টাকা। যদিও ২০ জিবি ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে দুদিন। বাকি ২৮ দিনের জন্য মন্ত্রণালয়ের গুণতে হবে আরও ২৪ কোটি টাকা।

অথচ দ্রুতগতির আনলিমিটেড ইন্টারনেটের জন্য মাসে ব্যয় হবে মাত্র ২ কোটি টাকা ৫ লাখ টাকা। মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হবার সাথে সাথে জনগণের টাকার অপচয়ের শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জুবায়ের কবির বলেন, “ইন দ্যা লং রান যেটা বেটার হবে এটা ভাবা যেতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহারে অনেক ইন্টারেক্টটিভ ডাউনলোড-আপলোডের বিষয়টা চলে আসে। সেক্ষেত্রে এটা সম্ভব হবে না।”

এই প্রকল্পে বিটিআরসির ধারা ভঙ্গ করে দরপত্রে শুধু মোবাইল অপারেটরকে যুক্ত করায় আপত্তি তুলছেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারা।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, “যেখানে শিক্ষা অধিদপ্তর পাচ্ছে ২০ জিবি পেইজ, ফিক্সড ব্রডবান্ডে যদি শিক্ষা অধিদপ্তর এই কাজটা নিতেন আনলিমিটেড ডাটা পেত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে বিটিআরসির ধারা ভঙ্গ করা হয়েছে।”

কোনও ধারা ভঙ্গ নয় বরং সমস্ত বিদ্যালয়কে মোবাইল ইন্টারনেটের আওতায় আনতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, “করোনার কারণে স্কুল বন্ধ তাই অনলাইন সেবা বা অনলাইন পড়াশুনার জন্য ইন্টারনেট সেবাটা গ্রহণ করা খুবই জরুরি ছিল। সেই কারণেই জরুরি ভিত্তিতে এই সেবাটা নিয়েছি।”

নামকাওয়াস্তে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়টি ফের বিবেচনা করার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি