ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

চাঁদের মাটিতে চারাগাছ গজালো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৪, ১৭ মে ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা চাঁদ থেকে আনা মাটিতে বীজ রোপন করেছিলেন৷ সেখান থেকে চারাগাছ জন্মালেও প্রবৃদ্ধির হার বেশি ছিল না৷ তবে হয়ত একদিন চাঁদে ফসল ফলানো সম্ভব- এটা তারই লক্ষণ৷

১৯৬৯ ও ১৯৭২ সালের তিনটি অ্যাপোলো মিশন চাঁদ থেকে মাটি সংগ্রহ করেছিল৷ মার্কিন মহাকাশ সংস্থার নাসার কাছে আবেদন করে ১২ গ্রাম চাঁদের মাটি পেয়েছিলেন গবেষকরা৷

এরপর এক গ্রাম কন্টেনারে অ্যারাবিডপসিস জাতের গাছের বীজ রোপন করা হয়৷ পাশাপাশি আগ্নেয়গিরির ছাইয়েও কিছু বীজ লাগান তারা৷ 

এরপর গবেষকরা দেখতে পান ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে চাঁদের মাটি ও আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে লাগানো বীজ থেকে চারাগাছ গজিয়েছে৷ কিন্তু কয়েকদিন পর দেখা যায় ছাইয়ের চেয়ে চাঁদের মাটিতে জন্মানো চারাগাছের বৃদ্ধি কিছুটা কম৷

গবেষণার ফলাফল কমিউনিকেশন্স বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷ 

প্রতিবেদনের সহলেখক রব ফার্ল বলেন চাঁদের মাটিতে চারাগাছ যে গজিয়েছে সেটিই একটি ইতিবাচক বিষয়৷

তবে পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া গাছ চাঁদের পরিবেশে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা৷

চাঁদে ফসল ফলানো সম্ভব হলে সেখানে মিশনে যাওয়া নভচারীরা নিজেদের খাবার নিজেরাই ফলাতে পারবেন৷ এছাড়া বাতাস বিশুদ্ধ করতে ও বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সরাতে এটি নভচারীদের সহায়তা করবে৷

এবছরই আর্টেমিস কর্মসূচির আওতায় চাঁদে একটি মিশন পাঠাচ্ছে নাসা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা৷ যদিও সেখানে কোনো নভচারী থাকছেন না৷ তবে চলতি দশকের শেষ নাগাদ চাঁদে নভচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি