ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আর্থিক খাতের কর্মকর্তাদের নিয়ে মাইক্রোসফটের সম্মেলন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩৭, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

আর্থিক খাতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সম্প্রতি এক সম্মেলনের আয়োজন করে শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এ সম্মেলনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসারের বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর ও ব্যাংকিং খাতের প্রডাক্টিভিটির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাওয়ার বিআই ও অ্যানালিটিকস কিভাবে নীতিনির্ধারকদের সহায়তা করতে পারে এবং ক্লাউড কম্পিউটিং কিভাবে ব্যাংকিং খাতকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে পারে সম্মেলনে তা দেখানো হয়।

সম্মেলনে ডিজিটাল রূপান্তর ও ব্যাংকিংখাতের প্রডাক্টিভিটি নিয়েও সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সেশনে অমনি চ্যানেল ও ডায়নামিক ৩৬৫ এবং পাওয়ার বিআই ও অ্যানালিটিকস এর ওপর উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, সাইবার নিরাপত্তা ও ট্রাস্টেড ক্লাউড নিয়ে আলোচনা হয়। সম্মেলনে গ্রাহকদের প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রাহক প্যানেল আলোচনায় ‘ব্যাংকিং খাতে ডিজিটাল ডিসরাপশন’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বক্তারা। এ আলোচনার মধ্যে ছিল ডিজিটাল ডিসরাপশনে টিকে থাকা এবং বর্তমান সময়ের প্রবণতাসহ এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সম্মেলনে ওয়ান পার্টনার, পিডব্লিউসি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে মাইক্রোসফট এশিয়া অঞ্চলে এক জরিপ পরিচালনা করে। এ জরিপ অনুযায়ী, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আর্থিকখাতে ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের ৮১ শতাংশ জানিয়েছেন, ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিতে তাদের ডিজিটাল ব্যবসায় রূপান্তরিত হওয়া প্রয়োজন। ৩১ শতাংশ জানিয়েছেন, এ রূপান্তর নিয়ে তাদের ডিজিটাল পরিকল্পনা রয়েছে। জরিপের মাধ্যমে জানা গেছে, এশিয়ার ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ ডিজিটাল রূপান্তরের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ক্লাউড কম্পিউটিংকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় বিষয় বলে মনে করেন। তারা আরও মনে করেন, ডাটা ইনসাইট নতুন আয়ের উৎসের ক্ষেত্রে দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।

মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, “ডিজিটাল ডিসরাপশনের এ সময়ে ব্যাংকিংখাত প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে কার্যক্রমের সঠিক পরিচালনায় ও মুনাফা বৃদ্ধিতে সঠিক উপকরণ ব্যবহার করে কর্মীদের ক্ষমতায়ন করতে পারে। পাশাপাশি গ্রাহকদের সাথে তাদের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করতে পারে। বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে এবং মানুষ খুব দ্রুতই নতুন প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হওয়া শুরু করেছে। তাই, ব্যাংকগুলোর জন্য এখনই সময় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার তথ্যকে ইনসাইটে রূপান্তরিত করার, ধারণাকে কার্যক্রমে রূপান্তর করা, গ্রাহকদের সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার এবং তাদের পরামর্শদাতা হয়ে ওঠার”।

জরিপ অনুযায়ী, বেশিরভাগ ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দই ডিজিটাল রূপান্তরে ব্যবসায়িক পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তনের ব্যাপারে সচেতন। জরিপে আরও উঠে এসেছে, এশিয়ার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই নতুন এ রূপান্তরের ক্ষেত্রে একেবারে শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। শুধু ৩১ শতাংশ ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে, তাদের ডিজিটাল রূপান্তরে প্রয়োজনীয় সম্পূর্ণ স্ট্র্যাটেজি রয়েছে এবং ৫৩ শতাংশ তাদের ব্যবসার নির্দিষ্ট কিছু অংশের ডিজিটাল রূপান্তরের কিছু ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর ১৬ শতাংশের এ নিয়ে খুবই সীমিত পরিসরে অথবা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি পরিকল্পনা রয়েছে।

এ নিয়ে মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের সাউথইস্ট এশিয়ার নিউ মার্কেটসের চিফ অপারেটিং অফিসার রেনা চাই বলেন, “আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের খুব কাছাকাছি। বর্তমান সময়ে ব্যবসা প্রক্রিয়া এবং ব্যবসায় গ্রাহক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাইক্রোসফট আরও বেশি কিছু অর্জনে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতায়ন চায়।”

 

//এস এইচ এস//টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি