ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

নোবেলজয়ী গবেষণায় বাঙালি বিজ্ঞানী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৩, ২৪ জুন ২০১৮

নোবেলজয়ী গবেষণা প্রকল্পে আরও এক বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম উঠে এসেছে। তিনি তরুণ গবেষক অভিরূপ ঘোষ। তার বাড়ি ভারতের সল্টটেকে।

মহাকর্ষ তরঙ্গের গবেষণায় ২০১৭ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী রেইনার ওয়েইস, কিপ থর্ন এবং ব্যারি ব্যারিস। এই গবেষণায় আন্তর্জাতিক প্রকল্প লেসার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি (লাইগো)-র অংশীদার হিসেবেই তিন বিজ্ঞানীর এই পুরস্কার। সেই গবেষণা প্রকল্পে জড়িত রয়েছেন অভিরূপও।

বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন তাঁর ‘জেনারেল রিলেটিভিটি’তত্ত্বে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ধারণা দেন। কিন্তু এই মহাকর্ষ তরঙ্গের সব থেকে উল্লেখযোগ্য রূপ দেখান তিন বিজ্ঞানী-রেইনার ওয়েইস, কিপ থর্ন এবং ব্যারি ব্যারিস।

প্রায় ১৩০ কোটি বছর আগে দুই ব্ল্যাকহোলের সংঘর্ষে তৈরি হওয়া মহাকর্ষ তরঙ্গ ২০১৫ সালে লাইগোর ডিটেক্টরে ধরা পড়ে। ১০০ বছর আগে আইনস্টাইনের তত্ত্বের ফলিত পরীক্ষার স্বীকৃতি দেয় সুইডিশ অ্যাকাডেমি। অভিরূপ বলেনন, ‘লাইগোর অধীনে অনেক ছোট ছোট গবেষকদল মহাকর্ষ তরঙ্গ নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা করছে। আমিও তেমনই একটি দলের সদস্য।’

জানা গেছে, অভিরূপ দ্বাদশ পাশের পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কাউন্সেলিংয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মনে হয়েছিল, ইঞ্জিনিয়ারিং নয়, তাঁর বিষয় পদার্থবিদ্যা এবং সেটাই পড়বেন তিনি। আপত্তি করেননি বাবা। প্রেসিডেন্সি, আইআইটি-তে পদার্থবিদ্যার পাঠ চুকিয়ে বেঙ্গালুরুর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিয়োরিটিক্যাল সায়েন্সেস (আইসিটিএস)-এ গবেষণায় যোগ দেন। আর সেখান থেকেই তাঁর যোগসূত্র নোবেলজয়ী গবেষণায়!

এই গবেষণায় যুক্ত হলেন কীভাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে অভিরূপ বলেন, ‘বাবা আইআইটি পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার। মায়ের ইচ্ছে ছিল, ডাক্তারি পড়ি। কিন্তু জীববিদ্যার থেকে আমার বেশি ভাল লাগত অঙ্ক ও পদার্থবিদ্যা। তবে ডাক্তারি পড়তে হবেই, এমন চাপ ছিল না। পদার্থবিদ্যা পড়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্সিই ছিল আমার প্রথম পছন্দ।

সূত্র : আনন্দবাজার।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি