গুগল, ফেসবুক আর টুইটারকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
প্রকাশিত : ১০:৪১, ২৯ আগস্ট ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের শাসনভার নেওয়ার পর থেকেই শত্রু দেশকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়া আর ইরানের প্রতি তো সকাল বিকাল হুমকির বোমা বর্ষণ করেন ট্রাম্প। তবে এবার তার হুঁশিয়ারি নিজ দেশের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেই। বিশেষ করে গুগল, ফেসবুক আর টুইটারের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ট্রাম্পের প্রতি এসব প্রতিষ্ঠান বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলে সরাসরি মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। এছাড়াও মার্কিন রিপাবলিকান দলের তুলনায় ডেমোক্রেট দল এসব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশি সুবিধা ভোগ করছেন বলেও অভিযোগ ট্রাম্পের।
গতকাল মঙ্গলবার এসব টেক জায়ান্টদের উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, তাদেরকে ‘খুবই সতর্ক’ হতে হবে। তারও আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে গুগলের বিরুদ্ধে ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে, সার্চ ইঞ্জিনটিতে ‘ট্রাম্প নিউজ’ লিখে কোন কিছু খোঁজা হলে তার আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না। আর যেসব ফলাফল আসে তার বেশিরভাগই বামপন্থী লিংক যেখানে ট্রাম্পের বিষয়ে নেতিবাচক খবর পরিবেশিত হয়।
হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “গুগল মানুষদের কাছ থেকে অনেক বেশি সুবিধা নিয়েছে। এটা খুবই গুরুতর বিষয়”। এসময় ফেসবুক ও টুইটারের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তাদের সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ আপনি মানুষের সাথে এমনটা করতে পারেন না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে হাজারো অভিযোগ আসছে”।
অভিযোগ আর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও এসব প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে কী না তা জানাননি ট্রাম্প। তবে তার অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো বলেছেন যে, এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রিত করা উচিত কি না তা নিয়ে ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তদন্ত ও বিশ্লেষণ করা হবে”।
তবে ট্রাম্পের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে গুগল। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সার্চ বক্সে প্রোগ্রামিং করা হয়নি। আর কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আমাদের সার্চের ফলাফল তৈরি করা হয় না”।
“আমরা প্রতিনিয়তই গুগল সার্চকে উন্নত করছি এবং কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সার্চ ফলাফলে র্যাংকিং করি না”-দাবি গুগলের।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের বিষয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেনি ফেসবুক এবং টুইটার।
সূত্রঃ বিবিসি
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন