কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নয়, মানুষের সৃজনশীলতাই জয়ী হবে
প্রকাশিত : ১৩:৩৩, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে ব্যাপক আকারে বেকারত্ব সৃষ্টির যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। কেননা সৃজনশীলতার দিক থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্রের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে মানুষ।
পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ এ তথ্য তুলে ধরেছেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ম্যাক্রো-অর্থনৈতিক নীতি এবং জব ইউনিটের পরিচালক এককাহার্ড আর্নেস্ট বলেছেন, উন্নত দেশগুলোতে উৎপাদন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আশানুরূপ মুনাফা অর্জন করতে পারবে না। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে নির্মাণশিল্প, স্বাস্থ্য খাত ও ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে।
তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে চাকরি হারানোর চেয়ে চাকরি ক্ষেত্রের রূপান্তর দেখা যাবে। এ সব খাতের কর্মীরা তাদের প্রোফাইলে নতুন ধরনের কাজ যুক্ত করবেন যাতে কম্পিউটার, রোবট বা অন্যান্য যন্ত্রের সহযোগিতা লাগে।
উন্নত দেশগুলোতে কৃষি খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুব কাজে লাগে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রযুক্তি কৃষকদের সঠিক বাজারদর জানাসহ নানা কাজে সাহায্য করছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আফ্রিকা অঞ্চলের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে, যা পোকা মাকড় শনাক্ত করতে পারে।
শ্রমবাজারে প্রযুক্তির দারুণ প্রভাব রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বৈষম্য দূর করা যায়। সম্প্রতি জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার বিভাগ (ইউএনডিইএসএ) এ তথ্য উল্লেখ করেছে।
এমএইচ/একে/
আরও পড়ুন