ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মানুষের চোখের কৃত্রিম রেটিনা কোষ আবিষ্কার!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪০, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

জন্মগত বা আঘাতজনিত কারণে কারও রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিণতি অন্ধত্ব। সেই দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে মানুষের চোখের কৃত্রিম রেটিনা কোষ তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির (জেএইচইউ) বিজ্ঞানীরা।

তারা দাবি করেছেন, সম্প্রতি ল্যাবরেটরিতে তারা মানুষের চোখের কৃত্রিম রেটিনা কোষ তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন, যা অন্ধত্বের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে ।

গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন জন্মের সময় একটি কোষের ভাগ্য কীভাবে নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ গর্ভের মধ্যেই কোন কাজের জন্য কোন কোষ কেমন স্টেম সেলে পরিণত হয়। রেটিনা নিয়ে গবেষণায় প্রথমে তারা বুঝতে চেষ্টা করেছিলেন মানুষের চোখ কীভাবে নীল, লাল এবং সবুজ রঙ চিনতে পারে। তবে এটি সহজ ছিল না। কারণ ল্যাবরেটরিতে এ ধরনের গবেষণা সাধারণত করা হয় ইঁদুর বা মাছের ওপর। কিন্তু মানুষের সঙ্গে যেহেতু ইঁদুর বা মাছের দৃষ্টিশক্তি মেলে না, তাই গবেষণা নিয়ে তারা সমস্যায় পড়েছিলেন। এভাবেই বর্ণের সংবেদনশীলতা নিয়ে গবেষণা করতে করতে একসময় বিজ্ঞানীরা মানুষের চোখের কৃত্রিম রেটিনাই বানিয়ে ফেলেন। যদিও কৃত্রিম রেটিনা এখনও কোনো মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়নি।

বিজ্ঞানী রবার্ট জনস্টন জানান, খালি চোখে সাধারণত মানুষ সবকিছু দেখে একটি ডিশের মতো চ্যাপ্টা আকারে। সম্প্রতি থাইরয়েড ও দৃষ্টির বর্ণ সংবেদনশীলতা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই তারা ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম রেটিনা তৈরিতে সক্ষম হন।

গবেষক কিয়ারা এলডার্ড বলেন, মানুষের চোখের ট্রাইক্রোমেটিক কালার ভিশন তাকে অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের থেকে আলাদা করেছে। কৃত্রিম রেটিনা তৈরির মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানীরা বুঝতে চেষ্টা করেছেন কীভাবে এই কোষ আমাদের বিভিন্ন রঙ দেখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে তারা রেটিনাতে নীল রঙ দেখতে সাহায্যকারী কোষও শনাক্ত করেছেন। এখন লাল ও সবুজ রঙ দেখতে সাহায্য করা কোষ শনাক্তের কাজ চলছে।

সূত্র: সায়েন্টিফিক আমেরিকান ও সায়েন্স অ্যালার্ট।

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি