রোহিঙ্গা বিদ্বেষী প্রচারণা
ব্যর্থতার স্বীকারোক্তি ফেসবুকের
প্রকাশিত : ১৫:৩৫, ৬ নভেম্বর ২০১৮
বহু আগেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তারা মিয়ানমারের জনগণকে ঘৃণা এবং সহিংসতা ছড়ানোর জন্য তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে দিচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে। সেইসব অভিযোগ তারা স্বীকারও করে নিয়েছিল। এরপর বিদ্বেষী প্রচারণা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপের অঙ্গীকার করেছিল তারা। তবে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে মার্কিন একটি মানবাধিকার সংস্থা জানায়, ফেসবুক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বিদ্বেষী প্রচারণা এখনও চলছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগও স্বীকার করে নিয়েছে।
মিয়ানমারে ফেসবুকের প্রায় ২ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা বিএসআর তাদের প্রতিবেদনে অভিযোগ তুলেছে, ফেসবুক মিয়ানমারের জনগণকে ঘৃণা এবং সহিংসতা ছড়ানোর জন্য তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে দিচ্ছে।
মঙ্গলবার বিজনেস ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি-বিএসআর নামের মানবাধিকার সংস্থাকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে যে- ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানো বন্ধে ফেসবুক কার্যকর কোন ভূমিকা রাখছে না।
সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক ওই সংস্থা সতর্ক করেছে, সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটি মিয়ানমারে অপ্রতিরোধ্য সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। তারা বলছে, স্থানীয়ভাবে যারা ফেসবুকের হয়ে কাজ করছেন, তারা হয়তো কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে কাজ করতে সক্ষম। তবে সেক্ষেত্রে তাদের সেনাবাহিনীর তোপের মুখে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে কাজটি সহজ নয়।
বিজনেস ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি আরও বলছে, ফেসবুকের উচিত ২০২০ সালের মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য ছড়ানো এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে যে নতুন সমস্যাগুলো হচ্ছে সেগুলো ঠেকাতে আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়া।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলেই মিয়ানমারে জাতিগত নিধনে ফেসবুকের ব্যবহৃত হওয়ার অভিযোগ স্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ।
সূত্র : আল-জাজিরা
এসএ/
আরও পড়ুন