মানবদেহে আসছে শূকরের হৃদপিণ্ড!
প্রকাশিত : ১৩:২৭, ২ জানুয়ারি ২০১৯
জার্মানির বিখ্যাত সার্জন ব্রুনো রাইখার্ট শূকরের হৃদপিণ্ড একটি বেবুনের দেহে প্রতিস্থাপন করে সফল হয়েছেন৷ মানবদেহে যদি সফলভাবে এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যায়, তাহলে হয়ত মানব অঙ্গ দাতার অভাব পূরণ হবে৷
শূকরের অঙ্গ মানুষের দেহে প্রতিস্থাপনের প্রয়াস কি সফল হতে পারে? এর উত্তরে রাইখার্ট জানিয়েছেন, নীতিগত দিকটা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ, কেননা, মানুষ বহু বছর ধরে শূকরের মাংস খেয়ে আসছে৷
প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর শূকর শিশু জন্ম নেয়৷ ৬ মাস পরে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়৷ মানুষের হৃদপিণ্ডের সঙ্গে এদের সাদৃশ্য রয়েছে৷
শূকরের হৃদপিণ্ডের ভালভ প্রায় ৪০ বছর ধরে মানুষের হৃদপিণ্ডে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে৷ মানবদেহের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বেবুনদের সাদৃশ্য রয়েছে৷ তাই প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে তাদের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে৷
তবে রাইখার্ট জানালেন, শূকরের হৃদপিণ্ড মানুষের হৃদযন্ত্রে প্রতিস্থাপন করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে৷ তাই প্রতিস্থাপনের পূর্বে সেটিকে মানবদেহের উপযুক্ত করে তুলতে হবে৷
সমালোচকরা বলেন, শূকরের হৃদপিণ্ডে মানুষের হৃদপিণ্ডের মতো রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা নেই৷ ফলে যেসব দেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হবে, সেসব মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে৷
তবে এই সমালোচনার জবাবে রাইখার্ট বলেন, যারা এসব সমালোচনা করছেন, তাদের এ সম্পর্কে ধারণা খুব কম৷ তাদের এ বিষয়ে আরো পড়ালেখা করা উচিত৷ একটি বেবুন বা মানুষের দেহে শূকরের হৃদপিণ্ড চমৎকারভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে পারে৷
শূকরের দেহের টিস্যু থেকে কোনো ভাইরাস সংক্রমণের সুযোগ নেই৷ মানুষের দেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য ডোনার, অর্থাৎ দাতা পাওয়া আজকাল খুবই মুশকিল৷ শূকরের হৃদপিণ্ড সেখানে সেই অভাব পূরণ করতে পারে৷
তবে এসব পরীক্ষার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন বলে জানালেন রাইখার্ট৷ এ কাজে বিনিয়োগ করবে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাওয়া ইউরোপে কঠিন বলে জানালেন তিনি৷
তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে
এমএইচ/
আরও পড়ুন