বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণতন্ত্রকে পিষ্ট করে মোশতাক-জিয়া-এরশাদ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৩১, ৮ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১২:৩২, ৮ আগস্ট ২০২০
জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর উল্টোপথে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। সামরিক স্বৈরশাসকেরা বহু মুক্তিযোদ্ধা অফিসার হত্যা করে বাংলাদেশকে নিয়ে যায় পাকিস্তানি ভাবধারায়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির গলা টিপে ধরে উত্থান ঘটায় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর। মোশতাক-জিয়া-এরশাদের পায়ের নিচে পিষ্ঠ হয় গণতন্ত্র। স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদরদের প্রতিষ্ঠিত করা হয় সবখানে।
ঘাতকের বুলেটে রক্তাক্ত বাংলাদেশ। জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর পরই ক্ষমতা দখল করে মোশতাক-জিয়া।
হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের দৃশ্যপটে জেনারেল জিয়া। হত্যা করা হয় হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে। জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা তো বটেই তাদেরকে পুরস্কৃতও করেন জিয়া।
রাতারাতি মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে বন্দি করে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগান চাপিয়ে দেয়া হলো। পাকিস্তান রেডিও’র আদলে বাংলাদেশ বেতারের নাম হলো রেডিও বাংলাদেশ। উত্থান ঘটে সাম্প্রদায়িক শক্তির। এভাবেই সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে আবারো পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয় খুনি চক্র।
ওই সময় কি অবস্থা হয়েছিল সে সম্পর্কে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হারুন অর রশিদ জানান, ‘১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশ একটি মিনি পাকিস্তানে পরিণত হয়। সেটা হয়েছিল ৭৫ পরবর্তী খন্দকার মোশতাক-জেনারেল জিয়া-জেনারেল এরশাদ-বেগম খালেদা এবং ২০০১-২০০৬ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে।’
মোশতাক-জিয়া-এরশাদ খুনি-যুদ্ধাপরাধীদের পুরস্কৃত করে। পরবর্তীতে খালেদা জিয়াও যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে দেন জাতীয় পতাকা। শত সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা।
উপাচার্য হারুন অর রশিদ আরও জানান, ‘আজকে যদি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হতেন এবং তিনি যদি আমাদের মধ্যে না থাকতেন তাহলে নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদেরও বিচার হতো না।’
প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র থেমে নেই এখনও। ষড়যন্ত্রের মাঝেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলার পথেই বাঙালির এগিয়ে চলা।
এএইচ/এমবি
আরও পড়ুন