জাপানে বঙ্গবন্ধু’র শাহাদৎ বাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত
প্রকাশিত : ১৪:৫৩, ১৫ আগস্ট ২০২০
(ছবি- সংগৃহীত)
জাপানের টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ শ্রদ্ধা আর ভাবগর্ম্ভীর পরিবেশে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় এ খবর জানা গেছে। আজ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচীর শুরু হয়।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফায়ারস ড. শাহিদা আকতার। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়ায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিগণ অংশগ্রহণ করেন।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস জাপান আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চার্জ দ্যা অ্যাফায়ারস ড. শাহিদা আকতার। পরে আগত অতিথি জাপান প্রবাসী এবং জাপান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র -প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। চার্জ দ্যা অ্যাফায়ারস ড. শাহিদা আকতার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙ্গালী জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা- তিনিই বাঙ্গালী জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তাঁর দেখানো পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন। ইনশাল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলবো।’
আলোচনা পর্বে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আরও উদ্যম ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন। এছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার সংগ্রাম আর কর্মময় জীবন নিয়ে করা একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। (বাসস)
এমএস/
আরও পড়ুন