দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
প্রকাশিত : ১৫:০২, ১৫ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৭:১৬, ১৫ আগস্ট ২০২০
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ পালন করা হয়। কোভিড-১৯ মহামারী এবং কোরিয়ান সরকারের সামাজিক দূরত্ব কর্মসূচীর কারণে উক্ত অনুষ্ঠানটি সীমিত পরিসরে সম্পন্ন করা হয়। অনুষ্ঠানে কিছু সংখ্যক কোরিয়ান এবং প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।
দিবসের শুরুতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচীর সূচনা করেন। এ সময়ে উপস্থিত সকলেই কালো ব্যাজ ধারণ করেন। অতঃপর রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম উপস্থিত সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পন করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দের আত্মার শান্তি কামনা ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং শাহাদাত বরণকারীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে যথাক্রমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও ইউনেস্কো’র মহাপরিচালকের প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় পরবর্তীতে জাতীয় শোক দিবসের উপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। মুক্ত আলোচনায় বক্তাগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেণ।
রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহিদ সকল সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির মুক্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব ও অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই নব্য স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি আদায় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সদস্যপদ লাভের ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্য গাঁথার উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বৈষম্যহীন “সোনার বাংলা” বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারনেই সাম্প্রতিক করোনা মহামারী সত্ত্বেও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কর্মকান্ডের কথা উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এর জীবনী ও অবদানের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং কবিতা পাঠ পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানের শেষ পযার্য়ে উপস্থিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দূতাবাস জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে স্থানীয় ইংরেজি পত্রিকা Korea Herald-এ জাতির পিতার উপর বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।
এমএস/
আরও পড়ুন