ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

‘বঙ্গবন্ধু সবসময় বাংলার মানুষ ও মাটির প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩৫, ২৯ আগস্ট ২০২০

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বাংলার মানুষ ও মাটির প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন। আজকে বাংলাদেশ সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু এর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। কৃষকের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে দরদ ছিল তা চিন্তা করা যায় না।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি উপস্থিত ছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথিবীতে অনেক নেতা আসবে, অনেক নেতা এসেছেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো মানবদরদী মহান নেতা আসবেন না।’

তিনি বলেন, সমুদ্রের গভীরতা মাপা যাবে, আপনারা আটলান্টিক মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতা মাপতে পারবেন, কিন্তু বাঙালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালবাসার গভীরতা আপনার মাপতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধু সবসময় বাংলার মানুষ ও মাটির প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার বাংলার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা, সফলা, শস্য-শ্যামল বাংলায় রূপান্তরিত করব।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৈশোর-তরুণ বয়স থেকে বাংলার কৃষকের দৈন্যদশা স্বচক্ষে দেখেছেন, যা বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে গভীরভাবে রেখাপাত করে। তাই আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুর সারা রাজনৈতিক জীবনজুড়ে কৃষক ও কৃষির উন্নয়ন ও কল্যাণ ভাবনা নিবিড়ভাবে কাজ করেছে। বাংলার দু:খী মানুষ-কৃষক শ্রমিকের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা ছিল অকৃত্রিম।

তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এছাড়া ১৯৭০ সালে নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন কৃষির প্রতি যে অবহেলা করা হয়েছিলো এটা অমার্জনীয়। কৃষি উন্নয়নের জন্য আমাদের বিপ্লব করতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সনের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমাদের চাষী হলো সবচেয়ে দু:খী ও নির্যাতিত এবং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পিছনে নিয়োজিত করতে হবে”।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ষাটের দশকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে আধুনিক চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য “সবুজ বিপ্লব” শুরু হলেও তার ছোঁয়া পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি বাংলাদেশের মাটিতে লাগতে দেয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে সরকার গঠনের পরপরই বঙ্গবন্ধু উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। কৃষি উপকরণ, কৃষি গবেষণা, নতুন জাত ও আধুনিক কৃষিতে গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু স্পষ্ট বলেছিলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে কৃষিতে গুরুত্ব দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে কৃষিতে গুরুত্ব দিয়েছেন। যার ফলে কৃষির সকল সেক্টরে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে।

এই ভার্চুয়াল সভায় বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান সভাপতিত্ব করেন। এতে আলোচক হিসাবে অংশগ্রহণ করেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও লেখক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম. এ. সাত্তার মন্ডল, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, সাবেক সচিব মো: আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার প্রমুখ।- বাসস

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি