বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠন হবে: ওয়েবিনারে বক্তারা
প্রকাশিত : ২২:১২, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
আওয়ামী লীগ আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠন করা হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে গত ৩১ আগস্ট রাতে একটি বিশেষ ওয়েবিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি।
‘জাতির পিতার হত্যার বিচার: জাতির প্রত্যাশা এবং রাষ্ট্রের করণীয়’ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে জুম এর মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট- এর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল এতে যুক্ত হয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সভাপতি ড. সাইদুর রহমান খান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে যারা জড়িত তাদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য একটি কমিশন গঠনের উদ্যোগ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামলে নিয়ে এই কমিশনের রূপরেখা প্রণয়নের কাজও এগিয়ে নেওয়া হবে। পঁচাত্তরের পনের আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পেছনে যারা ছিলেন, সেই সব কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে। ’
আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘মাস্টার মাইন্ডদের’ চিহ্নিত করতে হবে। পনের আগস্টের চক্রান্ত তো একদিনে হয়নি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। মাস্টারমাইন্ড হিসেবে শাহ মোয়াজ্জেম, ওবায়দুর রহমানসহ আরও নাম আসবে। জাতির অধিকার আছে তাদের ব্যাপারে জানার। হাই পাওয়ারের একটা জাতীয় কমিশন গঠন করে শ্বেতপত্রও প্রকাশ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর ও পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করার জন্য একটি কমিশন হওয়া দরকার। যাতে করে তরুণ প্রজন্ম জানতে পারে, বঙ্গবন্ধু কী সোনার বাংলা চেয়েছিলেন।
আবদুল মতিন খসরুর বক্তব্য প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এখানে একটা দাবি উঠেছে কমিশনের। আমি অনেক জায়গায় বলেছি, অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের এবং জাতীয় পর্যায়ের অত্যন্ত দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিয়ে একটা কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।’
কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা যদি আজকে তাদেরকে চিহ্নিত করতে না পারি, আমরা যদি তাদের মুখোশ উন্মোচিত করে দিতে না পারি এবং তাদের বংশধরদের যদি চিহ্নিত করে দিতে না পারি, তাহলে আমাদের এখনকার নতুন প্রজন্ম এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আবারও হুমকির সম্মুখীন হবে। হুমকির মধ্যে রেখে যাওয়া আমাদের জন্য দায়িত্বশীল কাজ হবে না। সে কারণে আমাদের কমিশন করা প্রয়োজন।”
আইনমন্ত্রী বলেন, “জিয়াউর রহমানের মুখোশ কিন্তু আর উন্মোচনের কোনো প্রয়োজন নাই। সেই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বেনিফিসিয়ারি এবং আপনি দেখবেন তার যদি একটা পরিকল্পনা না থাকত, তাহলে ধাপে ধাপে তার এভাবে উন্নতি হত না।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর পর জাতির পিতার হত্যাকান্ডের বিচার দাবি ছিলো আমাদের সবার। এর পরে আমরা ৬১ টি স্বাক্ষ্য গ্রহন করে এই হত্যা মামলার বিচার কার্য শুরু করেছিলাম।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ছাড়াও বিজয় টিভি এবং সময় টিভির পর্দায়, বিডি নিউজ২৪, বাংলা নিউজ২৪, বার্তা২৪, সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক, সারাবাংলা, ভোরের কাগজ, জাগো নিউজ২৪, বাংলাদেশ জার্নাল, ঢাকাটাইমস ও অপরাজেয় বাংলার ফেসবুক পাতায় সরাসরি প্রচারিত হয়।
এসি
আরও পড়ুন