ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা (ভিডিও)

রিয়াজ সুমন

প্রকাশিত : ১০:২৪, ৩ আগস্ট ২০২১

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর ইতিহাস থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করে সামরিক জান্তা সরকার। দেশের সব ধরনের প্রচার মাধ্যম- এমনকি চলচ্চিত্রেও জাতির পিতার নাম ও ছবি প্রকাশ করায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা চলে।

দেশের ইতিহাসের কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ড ৭৫-এর ১৫ আগস্ট। এদিন শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যাই করা হয়নি; এর পথ ধরে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা হয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। 

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেদিন ভোর বেলা শাহবাগ বেতার কেন্দ্রে বন্দুকের নলের মুখে জিম্মি করা হয় কর্মচারীদের। হত্যাকাণ্ড এবং খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে সামরিক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা প্রচার করেন খুনি ডালিম।

সংবাদপত্রগুলোর মূল শিরোনামেও ছিলো খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা গ্রহণ ও সামরিক শাসন জারির খবর। আড়াল করা হয় ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডকে।

আর এর প্রধান নির্দেশদাতা ও বাস্তবায়নকারী ছিল মোশতাক ও খুনীচক্র। 

এরই ধারাবাহিকতায় ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টি করে স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা-এই ঐতিহাসিক অভিধাগুলো মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালায় মোশতাকের উত্তরসূরী জিয়া। মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান জয় বাংলার জায়গায় পাকিস্তানি কায়দায় চালু হয় বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, জয় বাংলা স্লোগানকে রাতারাতি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে পরিণত করা এবং এই স্লোগানকে নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত তারা বাজাতে দেয়নি।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বই পুড়িয়ে ফেলা হয়। নতুন প্রজনন্মকে পড়ানো হতে থাকে বিকৃত ইতিহাস। জিয়াউর রহমানকে বানানো হয় স্বাধীনতার ঘোষক।

আবদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির জনক, তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন- এই ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্যই জিয়াউর রহমানকে ঘোষক বানানো হয়। 

এরপর সামরিক আইন, কখনো জরুরি আইন, আবার কখনো বিশেষ ক্ষমতা আইনের বলে স্বাধীনতা বিরোধী সামরিক-বেসামরিক শক্তি, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম, সংবাদপত্র, চলচ্চিত্রসহ সকল প্রচার মাধ্যমে জাতির পিতার ছবি ব্যবহারে সেন্সরশিপ আরোপ করে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে শুরু হয় নানা অপপ্রচার।

’৯১ সালে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকার সেই ধারাই অব্যাহত রাখে। 

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের পর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা ভিডিও চিত্র ও ছবি উদ্ধার করা হয়। ২১ বছর পর জাতি জানতে পারে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি