বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ঘোর অমানিশায় নিমজ্জিত হয় আওয়ামী লীগ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১৩, ৫ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ১১:১৪, ৫ আগস্ট ২০২১
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর ঘোর অমানিশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ। সামরিক স্বৈরাচারের বুটের নিচে পিষ্ট হয়ে গুম-খুন আর কারাবরণে নেতৃত্বশূণ্যতায় পড়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারি দলটি। ষড়যন্ত্র চলে আওয়ামী লীগ ভাঙ্গার। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দলের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেই থেকে শুরু হয় ভোট-ভাত আর দলকে সুসংগঠিত করার লড়াই। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৮ থেকে টানা তিনবার। নেতৃত্বগুণে আজ অপ্রতিরোধ্য আওয়ামী লীগ।
পনের আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর অভিভাবকশূণ্য আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীদের উপর নেমে আসে জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনের খড়গ। চলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, সকালে বের হলে রাতে বাড়িতে ফিরবো কিনা তার কোন গ্যারান্টি ছিল না। সেই সময় অনেকে টিটকারী করেছে ওই আওয়ামী লীগ আর ১শ’ বছরে ক্ষমতায় আসবে না।
চরম সংকটে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। তখন তিনি ভারতের দিল্লীতে। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার প্রায় তিন মাস পর দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। হাল ধরেন আওয়ামী লীগের। দেশে শুরু হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই। কোনো ষড়যন্ত্রেই থামানো যায়নি তাকে।
মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, এই দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিতে যেয়ে ১৯৮১ সালের পর তিনি নিজে বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন।
একদিকে আন্দোলন-সংগ্রাম, আরেকদিকে সংগঠনকে শক্তিশালী করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শুরু হয় জাতির পিতার আদর্শে পথচলা।
মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, ৯৬ সালের পর তিনি এসে ইনডিপেন্ডি অর্ডিন্যান্স বাতিল করলেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনীদের বিচারের আওতায় আনলেন, শাস্তি দিলেন।
২০০১ সালে আবারও ষড়যন্ত্র। নীলনকশার নির্বাচনে ক্ষমতায় বিএনপি-জামাত জোট। আরও একটি অন্ধকার সময়। বিএনপি-জামাতের নির্যাতনে ঘরবাড়ি ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পূর্ণিমা-মহিমাদের কান্নায় ভেজে বাংলার মাটি। হত্যা করা হয় শাহ এমএস কিবরিয়া, মমতাজ উদ্দিন, আহসানউল্লাহ মাস্টারকে। হাওয়া ভবনের ষড়যন্ত্রে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা। প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা।
মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, যেমনিভাবে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাকে হত্যা করে তারা ভেবেছিল আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করে দেয়া হলো। ঠিক তেমনিভাবে শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূণ্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয়। এরপর থেকে টানা ১২ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ।
এক যুগের উন্নয়নে বদলেছে দেশের চেহারা। তাই তো বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বেই উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। জাতির পিতার আদর্শেই এগিয়ে চলেছে গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন